আবগারি শুল্ক নিয়ে সাংবাদিকরা চিৎকার করছে: অর্থমন্ত্রী

প্রচ্ছদ » Uncategorized » আবগারি শুল্ক নিয়ে সাংবাদিকরা চিৎকার করছে: অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্যাংক আমানতের উপর প্রস্তাবিত বাড়তি আবগারি শুল্ক নিয়ে সাংবাদিকরা চিৎকার করছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে আবগারি শুল্কহার বাড়ানো হয়েছে। এরপর থেকেই আপনারা (সাংবাদিক) চিৎকার শুরু করেছেন।

আজ বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর আবগারি শুল্ক কমানোর ইঙ্গিত দিয়ে অর্থমন্ত্রী একথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক হিসাবে আবগারি শুল্ক নতুন কোনো বিষয় নয়।আপনারা এমন চিৎকার করতে শুরু করলেন যে মনে হলো নতুন একটা কিছু হয়েছে। নতুন কিছু নয়।আমরা কেবল এর হার কিছুটা বাড়িয়েছি।

তিনি বলেন, জাতীয় সংসদে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা হবে। রেট কমতে পারে।

আগামী ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বছরের যেকোনও সময় ব্যাংক হিসাবে এক লাখ টাকার বেশি স্থিতি থাকলে ওই আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০০ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এরপর থেকেই আলোচনা-সমালোচনার শীর্ষে উঠেছে বিষয়টি।

ব্যক্তি থেকে সংগঠন, সংস্থা, এমনকি জাতীয় সংসদেও তুমুল সমালোচনার ঝড় বইছে। দাবি উঠেছে বর্ধিত আবগারি শুল্ক প্রত্যাহারের। সংসদ সদস্যরা অর্থমন্ত্রীকে জেদ না ধরে জনগণের কথা চিন্তা করে শুল্কহার প্রত্যাহারের আহবান জানান।

গত ৩ জুন রাজধানীর এক আলোচনা সভায় অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছর ১ লাখ টাকায় এ হার ৫০০ টাকা ছিল। আমাদের ধারণা, দেশে ১ লাখ টাকার ব্যাংক হিসেবের সংখ্যা ৮০ শতাংশ। এবার একটু বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এ নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। এ শুল্ক বিষয়ে বিবেচনা করতে জাতীয় সংসদে আলোচনা করা হবে।

এরপর গত ৮ জুন সিলেটে অর্থমন্ত্রী বলেন, আবগারি শুল্ক কমানোর সুযোগ নেই। তবুও এ বিষয়ে সংসদে আলোচনা শেষে তা পাশ হবে।

গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে আবারও বর্ধিত শুল্কহার কমানোর ইঙ্গিত দেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ সম্পর্কে এ মুহূর্তে সরকারের উচ্চমহলে চিন্তাভাবনা চলছে। আমার বিশ্বাস, এ বিষয়েও আমরা একটা গ্রহণযোগ্য সমাধানে আসতে পারব।

প্রতিমন্ত্রীর এ বক্তব্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে অর্থমন্ত্রী বলেন, হি ইজ নট অ্যান ইরেসপনসিবল পারসন। সো এটা কি হবে?

এসময় তিনি শুল্ক কমানোর ব্যাপারে নিজের পূর্বের অবস্থান থেকে সরে আসার কথা ইঙ্গিত দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *