কুষ্টিয়ায় রাত জেগে বাজার পাহারা দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

প্রচ্ছদ » Uncategorized » কুষ্টিয়ায় রাত জেগে বাজার পাহারা দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

পুঁজিবাজার রিপোর্ট ডেস্ক: কুষ্টিয়ার খোকসায় দস্যুতা থেকে নিজেদের জান-মাল রক্ষায় বাধ্য হয়ে ব্যবসায়ীরা নিজেরায় দল বেঁধে বাজার পাহারা দেয়া শুরু করেছে। একইভাবে ডিফেন্স পার্টি গঠন করে রাত জেগে গ্রাম পাহারা দিচ্ছে সাধারণ মানুষ।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও গ্রামবাসীর দাবি, দুর্বৃত্ত দমনে ব্যর্থ হয়ে পুলিশ তাদের পাহারা দিতে বাধ্য করেছে। জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলা সদরের খোকসা জানিপুর বাজার, শোমসপুর বাজার, শ্যামপুর, পদ্মাবিলা, মির্জাপুর, বসোয়া, শিমুলিয়াসহ ১০টিরও বেশি গ্রামে চুরি ডাকাতির ঘটনা বৃদ্ধি পায়। সর্বশেষ থানা থেকে ৫০০ গজ দূরের খোকসা জামে মসজিদ মার্কেটের সামনের একটি কাপড়ের দোকান থেকে এক রাতে প্রায় ৬শ পিস সাড়ি কাপড় লুট হয়। ওই রাতে দুর্বৃত্তরা বাজারের নৈশপ্রহরীদের চোখে ধুলোদিয়ে দোকানটির সামনে মিনি ট্রাক রেখে ঘরের সাটারের তালা ভেঙে প্রায় ৬ লাখ টাকার কাপড় নিয়ে যায়।

এ ঘটনার পর ব্যবসায়ীরা পুলিশের ওপর আস্তা হারিয়ে ফেলে। তারা মিটিং ডাকলে সেখানে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজে হাজির হন। তিনি ব্যবসায়ীদের ঘারে বাজার পাহারার দায়িত্ব চাপিয়ে দেন বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন। এরপর থেকে ২ সপ্তাহ ধরে রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বাজারের ২৪ জন ব্যবসায়ী বাজার কমিটির নিয়োগ দেয়া ৯ জন নৈশ প্রহরীকে সঙ্গে নিয়ে পালাক্রমে ৮শ’ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পাহারা দিচ্ছেন। বাজার পাহারার সময় নিজেদের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে অনেকে উদ্বিগ্ন থাকেন বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।

এছাড়া উপজেলার ১০টিরও বেশি গ্রামের মানুষ নিজেদের নিরাপত্তায় ডিফেন্স পার্টি গঠন করে রাত জেগে গ্রাম পাহারা দিতে বাধ্য হচ্ছে। রোববার রাতে ১১টার পর উপজেলা সদরের বাজারের গিয়ে কথা বলা হয় পাহারার জন্য আসা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। তারা তখন রাস্তায় গোল হয়ে দাঁড়িয়ে নিজের নিরাপত্তা ও ডিউটি বন্টন নিয়ে আলোচনা করছিলেন। প্রত্যেক ব্যাবসায়ীর গলায় আলাদা আলাদা ফিতায় পরিচয়পত্র আর একটি করে বাঁশি ঝুলছে। তবে তাদের কাছে এক খানা বাঁশের লাঠিও নেই। এই দলের প্রধান ব্যবসায়ী গোলাম ইয়াসিন স্বপন জানায়, সারাদিন ব্যবসা বাণিজ্য করার পর তারা অনেকটা বাধ্য হয়ে বাজার পাহারায় এসেছে। তারপরেও বাজার নিরাপদ রাখতে পারছেন না। এ দলের অনেক ব্যবসায়ী পাহারায় অনিহার কথা জানায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *