দূরপাল্লার সব নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা

প্রচ্ছদ » Uncategorized » দূরপাল্লার সব নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক :বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র কারণে ঢাকা থেকে দূরপাল্লার সব নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোতে দুই নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদিন জানান, মোরা’র প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। এ কারণে ভোলা, পটুয়াখালী ও বরিশাল অঞ্চলে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।

তবে চাঁদপুর ও কাছের নৌ পথে লঞ্চ চলাচল করতে পারবে বলে জানান বিআইডব্লিউটিএর এই কর্মকর্তা।

উল্লেখ, ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান সম্পর্কে বুলেটিনে বলা হয়, আজ সকাল ০৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে।

এটি আরও ঘণিভূত ও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আগামীকাল মঙ্গলবাল সকাল নাগাদ চট্রগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল।

ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ অতিক্রমকালে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা,বরিশাল, পিরোজপুর জেলা সমূহ এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘন্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

বুলেটিনে জানানো হয়, উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালি, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৫ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

বুলেটিনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠী, পিরোজপুর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *