নির্যাতন থেকে বাঁচতে পুরুষের ১৩ দফা

প্রচ্ছদ » Uncategorized » নির্যাতন থেকে বাঁচতে পুরুষের ১৩ দফা

husband-wifeপুঁজিবাজার রিপোর্ট ডেস্ক: নারী নির্যাতনের কথা আমরা অহরহ শুনে থাকলেও পুরুষ নির্যাতনের কথা খুব একটা শোনা যায় না। কিন্তু সম্প্রতি পুরুষ নির্যাতন নিয়ে সভা, সেমিনার, মানববন্ধনে বিভিন্ন দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে। নির্যাতিত পুরুষদের বিভিন্ন দাবির মধ্যে রয়েছে অযথা মিথ্যা যৌতুকের মামলা। তারা জানিয়েছেন, অহেতুক কোনো কিছু ঘটলেই যৌতুকের মামলা দেয়া হয়।

নারায়ণগঞ্জের ভুঁইঘরের যুবক শেখ খায়রুল আলম। পারিবারিকভাবে ২০১৩ সালে একই এলাকার শায়লা তাবাসসুম রিমিকে (ছদ্মনাম) বিয়ে করেন। কথা ছিল দুই মাস পর আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়েকে স্বামীর ঘরে তুলে দেবেন মেয়ের বাবা। কিন্তু পরে তার কিছুই হয়নি। উল্টো শ্বশুর ও স্ত্রী কর্তৃক যৌতুক এবং নারী নির্যাতন মামলার আসামি হয়েছেন খায়রুল। জেল খেটেছেন ৭৭ দিন। জামিনে মুক্তি পেলেও মামলার ঘানি টানতে টানতে খায়রুল এখন দিশেহারা।

এসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে ‘পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশ (পুনিপ্রআবিডি)’ নামে একটি সংগঠন করেন তিনি। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন তিনি। ইতিমধ্যে দেশের ১৫ জেলায় কমিটি দেয়া হয়েছে এই সংগঠনের।

বিভিন্ন সময় সভা, সেমিনার ও মানববন্ধনে সংগঠনটির পক্ষে ১৩ দফা দাবির কথা তুলে ধরেন তিনি। নিচে ১৩ দফার দাবিগুলো যুগান্তরের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

নির্যাতন থেকে বাঁচতে পুরুষের ১৩ দফায় যা আছে-

১. নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হলে বাদীকে কঠিন শাস্তির আদেশসহ পর্যাপ্ত জরিমানার ব্যবস্থা করা।

২. বিনা অপরাধে জেল খাটালে বাদীকে ক্ষতিপূরণসহ শাস্তি দেয়া।

৩. স্ত্রীর মামলায় সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা যাবে না।

৪. তদন্ত ছাড়া শ্বশুর-শাশুড়ি, ননদ-দেবরকে আসামি করা যাবে না।

৫. স্বামীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করলে তদন্ত সাপেক্ষে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করার ব্যবস্থা।

স্ত্রীর কর্মকাণ্ডের দায় স্বামীর ওপর যাতে না বর্তায়, সে বিষয়ে তাদের দাবি হলো:

৬. সন্তান হওয়ার পর স্ত্রী স্বেচ্ছায় অন্যের কাছে চলে গেলে সন্তানকে স্বামীর হেফাজতে দেয়া।

৭. স্ত্রী স্বেচ্ছায় স্বামীকে তালাক দিলে সেক্ষেত্রে স্বামীর কোনো দোষ না থাকলে স্ত্রী জরিমানাস্বরূপ স্বামীকে দেনমোহরের সমপরিমাণ টাকা পরিশোধ করবে।

৮. বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে ত্যাগ করতে বাধ্য করলে স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাক দেয় তাহলে স্বামীকে যাতে দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করতে না হয়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। অবশ্যই সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে।

৯. স্বেচ্ছায় স্ত্রী শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে গেলে কোনো খোরপোষ পাবে না।

১০. স্ত্রী নিজ পিত্রালয়ে অবস্থানকালীন কোনো দুর্ঘটনা ঘটালে বা আত্মহত্যা করলে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া মিথ্যা মামলা দিয়ে স্বামীকে যাতে হয়রানি করতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করা।

১১. মহিলা কর্তৃক পুরুষ যৌন নির্যাতনের শিকার হলে ওই মহিলার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার ব্যবস্থা করা।

১২. তালাকের পর দেনমোহর ও খোরপোষের মামলা ছাড়া অন্য কোনো মামলা দিয়ে স্বামীকে যাতে হয়রানি করতে না পারে।

১৩. পুরুষবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা এবং সর্বোপরি আইনের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ বিবেচনা না করার দাবি জানানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *