
পুঁজিবাজার রিপোর্ট ডেস্ক: মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা ও দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চি যেকোনো মুহূর্তে অবসরে যেতে পারেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। দলটির কার্য নির্বাহী কমিটির এক বৈঠকে সু চি সম্ভব হলে নিজেকে সরিয়ে নিতে চান বলে জানানোর পর এ গুঞ্জন আরো জোরালো হয়েছে।
তবে রোববার এনএলডি’র এক মুখপাত্র সু চির পদত্যাগের গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন। মুখপাত্র ইউ মিও নিউন্ত বলেছেন, ‘খবর বেরিয়েছে যে অং সান সু চি অবসরে যাবেন। আমি বললাম, না। তবে দলের কর্মীরা যদি কঠোর পরিশ্রম করেন, তবেই তিনি অবসরে যাবেন। এটা তিনি (সু চি) সব সময়ই বলেন। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তিনি শিগগিরই অবসরে যাবেন।’
শনিবার এনএলডি’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সু চি বলেন, সম্ভব হলে তিনি পদত্যাগ করতে চান।
এর আগে শনিবার দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল এনএলডি’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির (সিইসি) সদস্যদের এক বৈঠকে সু চি বলেন, সম্ভব হলে তিনি পদত্যাগ করতে চান। এনএলডি প্রধান সু চির এ মন্তব্যের পর দেশটির গণমাধ্যমে তার পদত্যাগের ব্যাপারে খবর প্রকাশিত হয়।
এনএলডি’র মুখপাত্র ইউ মিও নিউন্ত শনিবারের ওই বৈঠকের ব্যাপারে বলেন, ‘নেইপিদোতে যে বৈঠক হয়েছে সেটি ছিল শুধুমাত্র সামাজিক সমাবেশ। বৈঠকে রাজনৈতিক কোনো বিষয়ে আলোচনা হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘এটি ছিল অনিয়মিত একটি আলোচনা। সিইসির সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘসময় ধরে এ বৈঠক হয়েছে। প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করায় ভাইস প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্ত দেশের শীর্ষ এ পদের দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা কার্যনির্বাহী কমিটির পুরনো এবং নতুন সদস্যদের সঙ্গে সামাজিক আড্ডা দিয়েছি।’
এনএলডির এই মুখপাত্র বলেন, ২০০৮ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির সংবিধানে সংশোধনী আনে। এতে সরকারি কর্মকর্তারা দলীয় রাজনীতিতে অংশ নিতে পারবেন না বলে বিধান করা হয়। যে কারণে সামাজিক সমাবেশ অবৈধ নয়।
এনএলডির সংসদ সদস্য ইউ ন্যা মিও তুন বলেন, ‘ধৈর্য এবং প্রভাব বিবেচনায় অবশ্যই তিনি (সু চি) দেশের প্রধান থাকবেন। তার (বয়স এবং কাজের চাপ বিবেচনায়) প্রতি আমাদের সহানুভূতি নেই; বিষয়টি তেমন নয়। তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। আমি বিশ্বাস করি, তিনি এতে দ্বিমত করবেন না।’