বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এখন দৃশ্যমান
প্রচ্ছদ » Uncategorized » বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এখন দৃশ্যমাননিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদের স্পিকার ও কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলে আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতি লাভ করছে। বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এখন দৃশ্যমান।’
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকার ও কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাতের সময় স্পিকার এসব কথা বলেন। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইইউ পার্লামেন্টের সদস্য আর্নে লিৎজের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে।
স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ইউরোপিয়ান প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের সংসদীয় কার্যক্রম, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা ও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বিষয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় স্পিকার বলেন, ‘বর্তমান সরকার দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলে আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতি লাভ করছে। বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এখন দৃশ্যমান।’
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প। এ খাতে নিয়োজিত শ্রমিকের অধিকাংশই নারী। নারী শ্রমিকের শিশুদের সুন্দর শৈশব নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে সরকার ডে-কেয়ার সেন্টার এবং ডরমিটরি তৈরি, মাতৃত্বকালীন ছুটি, ল্যাকটেটিং মাদার ভাতাসহ বহুবিধ সুবিধা নিশ্চিত করেছে।’
স্পিকার আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে ৩৫০ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে ৩০০ জন এবং ৫০ জন সংরক্ষিত আসনে নারী সদস্য নির্বাচিত হন। দশম জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী, সংসদ উপনেতা, স্পিকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীরা সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। সংসদীয় কার্যক্রমকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহি করার লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ভিত্তিক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং মন্ত্রীর পরিবর্তে একজন সংসদ সদস্যকে কমিটির সভাপতি নিযুক্ত করা হয়েছে।’
দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনাসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন স্পিকার। তিনি জানান, সরকার একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প এবং পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক গঠন করেছে যা নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের পাশাপাশি দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখছে।
ইইউ পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তারা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পকে উদীয়মান সেক্টর হিসেবে আখ্যায়িত করেন। ইইউ ও বাংলাদেশের পারস্পরিক সম্পর্ক ভবিষতে আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশা ব্যক্ত করে ইইউ পার্লামেন্টের প্রতিনিধিরা।