বিজিএমইএ ভবন : মুচলেকা দিলেই সময় আবেদন বিবেচনা: আপিল বিভাগ

প্রচ্ছদ » রাজনীতি » বিজিএমইএ ভবন : মুচলেকা দিলেই সময় আবেদন বিবেচনা: আপিল বিভাগ

bgmeaনিজস্ব প্রতিবেদক: মুচলেকা দিলে ভবন ভাঙতে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সময় আবেদনের বিষয়ে বিবেচনা করবে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ভবন ভাঙতে তৃতীয়বারের মত বিজিএমইএ’র সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।

আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে বিজিএমইএ’র পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম। এছাড়া রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকের (রাজউক) পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

গত ২৫ মার্চ রোববার বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে ভবন ভাঙতে এক বছর সময় চেয়ে আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ বিজিএমইএ’র আবেদনের ওপর আদেশের জন্য আজ মঙ্গলবার দিনটি নির্ধারণ করেছিলেন।

এর আগে গত বছরের ১২ মার্চ ভবনটি ভাঙতে বিজিএমইএকে ছয় মাসের সময় দেয় আপিল বিভাগ। জলাধার আইন ভেঙে নির্মিত বিজিএমইএ ভবনকে সৌন্দর্যমণ্ডিত হাতিরঝিল প্রকল্পে ‘একটি ক্যানসার’ বলেছিল হাই কোর্ট।

ওই ভবন অবৈধ ঘোষণা করে হাই কোর্টের দেওয়া রায় আপিলেও বহাল থাকে। পরে বিজিএমইএ রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করলেও তা খারিজ হয়ে যায়।

সেসময় রায়ের পর কার্যালয় সরিয়ে নিতে বিজিএমইএ তিন বছর সময় চাইলেও আপিল বিভাগ তাদের ছয় মাসের মধ্যে সে কাজ শেষ করতে বলে। সেই ছয় মাস সময় শেষ হওয়ার আগে আগে আরও এক বছর সময় চেয়ে গতবছর ২৩ আগস্ট আবেদন করে বিজিএমইএ।

আপিল বিভাগ তখন ভবনটি ভাঙতে আরও সাত মাস সময় দেয়, যা আগামী ১২ এপ্রিল শেষ হবে। ওই আদেশে আদালত বলে, এটাই শেষ সুযোগ, আর সময় দেওয়া হবে না। কিন্তু গত ৫ মার্চ বিজিএমইএ ভবনটি ভাঙতে আবারও এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করে, যার ওপর গত রোববার এই শুনানি হয়।

উল্লেখ, ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *