যে কারণে বীকন ফার্মার শেয়ার দর ঊর্ধ্বগতি
প্রচ্ছদ » আজকের সংবাদ » যে কারণে বীকন ফার্মার শেয়ার দর ঊর্ধ্বগতিপুঁজিবাজার রিপোর্ট ডেস্ক : চলতি মাসের ৮ মে থেকে টানা ৮ কার্যদিবস বীকন ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার দর পড়েছে। তারপরের এক কার্যদিবস দর বেড়েই আবার দুই কার্যদিবস শেয়ার দর কমেছে। গতকাল আবার এ কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধি পেয়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জে এটি একটি স্বাভাবিক বিষয় হলেও বীকন ফার্মার গতকালকের দর বৃদ্ধির পেছনে উল্লেখযোগ্য কারণ ছিল।
গতবছরের জুন মাসে কোম্পানিটি তাদের রেজিষ্টার্ড অফিস ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে তেজগাও শিল্প এলাকায় নিয়ে আসে। এতোদিন তেজগাওতেই কোম্পানির কার্যক্রম চলেছে। তবে বর্তমানে কোম্পানির অবস্থা ভিন্ন। বীকন ফার্মা মতিঝিলে তাদের নিজস্ব ভবনে যাচ্ছে। স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটির ঠিকানা পরিবর্তনের তথ্য জানানোর কথা থাকলেও এখনো বীকন ফার্মা নিরব ভূমিকা পালন করছে। অথচ ইতিমধ্যে কোম্পানিটি তাদের তেজগাও এলাকার ঠিকানা পরিবর্তন করে মতিঝিলের বীকন টাওয়ারের নতুন ঠিকানা টাঙ্গিয়ে দিয়েছে। আর এরই সূত্র ধরেই এ কোম্পানির পেছনে গতকাল একটু বেশি আগ্রহ দেখিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
কোম্পানিটি এতোদিন ভাড়া থেকে নিজস্ব অফিসে চলে এসেছে। এতে কোম্পানির আয় বৃদ্ধি পাবে। এমন ধারণায় বীকনের প্রতি ঝুঁকেছেন বিনিয়োগকারীরা। তবে নিজস্ব ভবনে কোম্পানিটি স্থানান্তরিত হওয়ার খবরটি বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখকর হলেও কোম্পানিটি তথ্য গোপন করার অভিযোগে অভিযুক্ত। এতে এক শ্রেণীর বিনিয়োগকারীরা ফায়দা লুটার সুযোগ পেয়ে যায় বলে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তালিকাভুক্ত প্রতিটি কোম্পানিকেই স্টক এক্সচেঞ্জের আইন কানুন মেনে শতভাগ স্বচ্ছ থাকতে হবে বলে মনে করেন তারা।
২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া বীকন ফার্মার অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ২৩১ কোটি টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৬৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। গত একমাসে এ কোম্পানির সর্বোচ্চ দর ছিল ২২.৭০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ২০.৮০ টাকা। এর মোট ২৩ কোটি ১০ লাখ শেয়ারের মধ্যে পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ৩০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ১৯.৮২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫০.১৮ শতাংশ শেয়ার।