
পুঁজিবাজার রিপোর্ট ডেস্ক: রাজশাহী কিংসের বিপক্ষ্যে সহজ জয় পেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১১৫ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে সহজ জয় তুলে নিয়েছে কুমিল্লা। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে রাজশাহীল বিপক্ষে আজ রোববার ৯ উইকেটে ও ৩৬ বল হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লার দলটি।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় এবং ব্যক্তিগত ২৩ রানের মাথায় ফরহাদ রেজার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ওপেনার লিটন দাস। এরপর আরেক ওপেনার জোস বাটলারকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আসেনে ইমরুল কায়েস। তারা দুই জন শক্ত জুটি গড়ে দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেন। তাদের ব্যাটের উপর ভর করেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দলীয় সংগ্রহে বাটলার অর্ধশতক এবং ইমরুল কায়েস ৪৪ রান যোগ করার পর অপরাজিত অব্স্থায় মাঠ ছাড়েন।
এর আগে, টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে একের পরে এক উইকেট হারাতে থাকে রাজশাহী। কুমিল্লার ঝড়ো বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১১৫ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় রাজশাহী।
ওপেনিয়ে নেমে ব্যক্তিগত মাত্র ২ রানে আউট হন মুমিনুল হক। দলীয় ২৩ রানের মাথায় মোহাম্মদ নবির বলে জোস বাটলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল।
মুমিনুল আউট হলে ক্রিজে যোগ দিয়ে শুন্য রানেই ফিরে গেছেন রনি তালুকদার। আল আমিন হোসেনের বলে লিটন দাসের গ্লাবসবন্দি হয়ে ফেরেন রনি। এরপর অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। কিন্তু তিনিও সুবিধা করতে পারেননি। দলীয় ৬৪ রান এবং ব্যক্তিগত ১৬ রানে চাপ বাড়িয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। রশিদ খানের বলে জোস বাটলারের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
মুশফিক ফিরে গেলে জেমস ফ্রাঙ্কলিনকে সঙ্গ দিতে আসেন মেহেদি হাসান। তবে মেহেদিকে ক্রিজে ফেলেই বিদায় হন ফ্রাঙ্কলিন। দলীয় সংগ্রহে মাত্র ৭ রান যোগ করার পরই ব্রাভোর বলে বোল্ড হন তিনি।
ফ্রাঙ্কলিন ফেরার পর মেহেদিকে সঙ্গ দিতে আসেন ম্যালকম ওয়ালার। কিন্তু দলীয় ৬৯ রান এবং ব্যক্তিগত মাত্র ১ রানের মাথায় রশিদ খানের শিকার হয়ে ফেরেন ওয়ালার। এরপর ক্রিজে যোগ দেন ফরহাদ রেজা। মেহেদির সঙ্গে জুটি গড়ে হয়তো দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু না, দলীয় ৮২ রান এবং ব্যক্তিগত ৬ রানের মাথায় নবির বলে স্যামুয়েলসের হাতে ধরা পড়েন মেহেদি।
মেহেদি ফেরার পর ফরহাদ রেজাকে সঙ্গ দিতে আসেন নিহাদুজ্জামান। কিন্তু নিজের মাত্র ২ রানের মাথায় নবির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন নিহাদুজ্জামান। এরপর ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ স্যামি। তাদের দুই জনের ব্যাটে লড়ে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান তুলতে সক্ষম হয় রাজশাহী কিংস।