সন্তানকে বাঁচাতে বুকের দুধ বেচছেন মা!

প্রচ্ছদ » বিনোদন » সন্তানকে বাঁচাতে বুকের দুধ বেচছেন মা!

china-milkপুঁজিবাজার রিপোর্ট ডেস্ক: সন্তানের জন্য একজন মা সবকিছুই করতে পারে। সন্তানকে বাঁচানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে পারেন মা। চীনের এক মা তার সদ্যজাত সন্তানকে বাঁচাতে বেছে নিয়েছেন এক মর্মস্পর্শী পন্থা। অসুস্থ সন্তানের হাসপাতালের বিল মেটাতে রাস্তায় স্বামীসহ দাঁড়িয়ে তিনি বিক্রি করছেন তার বুকের দুধ।

চীনের ওই মায়ের দুই যমজ মেয়ে সন্তানের একজন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি। হাসপাতাল কর্তৃক্ষ জানিয়েছে, মেয়ে সুস্থ হলেই হাসপাতালের বিল ভরতে হবে ১ লাখ ইউয়ান (১১,২৫০ পাউন্ড)।

আরেক সন্তান কোলে নিয়ে ওই চীনা মা ও তার স্বামীকে নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে পিয়ার ভিডিও। ভিডিওটি তোলা হয় চীনে গুয়াংডোং রাজ্যের সেনঝেং শগহরে সেনঝেনস শিশু পার্কে।।

ভিডিওতে দেখা গেছে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন ওই চীনা মা ও তার স্বামী। পাশেই একটি বোর্ড। সেখানে লেখা সন্তানের চিকিৎসা খরচ জোগাড় করতে বুকের দুধ বিক্রি করা হবে। প্রতি মিনিট স্তন্যপানে ১০ ইউয়ান নেওয়া হবে।

ওই ভিডিওটি পোস্ট করা হয় মিওপাই ভিডিও ওয়েবসাইটে। ভিডিও প্রকাশিত হওয়া মাত্রই ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সিনা উইবোতে এটি দেখা হয় ২৪ লাখ বার। মন্তব্য করা হয় ৫ হাজারের বেশি।

ওই মা বলেন, তিনি তার বুকের দুধ বিক্রি করছেন সন্তানের চিকিৎসা খরচ দ্রুত জোগাড় করার জন্য। সেনঝেংয়ের একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে তার মেয়ে ভর্তি রয়েছে। তার স্বামী বলেন, তারা হাসপাতালের কাছে হাজার হাজার ইউয়ান ঋণগ্রস্ত। ডাক্তাররা বলেছেন তাদের সন্তান সুস্থ হলেই হাসপাতালকে ১ লাখ ইউয়ান বিল দিতে হবে।

ওই ভিডিও পোস্ট করার পর ঝড় তোলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। প্রশ্ন ওঠে চীনের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে। সম্প্রতি বেশ ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে দেশটির চিকিৎসা কেন্দ্রগুলো। চিকিৎসা সেবা পাওয়ার জন্য বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে তাদের।

বেশিরভাগ মানুষ এই ঘটনায় আবেগাপ্লুত মন্তব্য করেছেন। অনেকে লিখেছেন , সেল মিল্ক, সেভ গার্ল। অর্থাৎ, দুধ কিনো, মেয়েকে বাঁচাও।

একজন ব্যবহারকারীর মন্তব্য বেশ সাড়া ফেলেছেন। তিনি লিখেছেন, যখন মানুষ সমাজের সবচেয়ে নিম্ন স্তরে নেমে আসে, তখন তাদের মৌলিক অধিকারও থাকে না।

তবে অনেকে বিরুপ মন্তব্যও করেছে। ওইসব বিরুপ মন্তব্যকে লক্ষ্য করে একজন বলেছেন, সবচেয়ে অসহায় মা-বাবার ভালোবাসার প্রমাণ এই ঘটনা। যারা এ নিয়ে নোংরা কথা লিখছেন, তাদের চিন্তা করা উচিত ওই সন্তান আপনাদের হলে আপনারা কি করতেন? আপনারা কি সন্তানের জীবন নিয়ে ভাবতেন নাকি নিজেকে নিয়ে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *