স্বাধীনতাবিরোধীদের জন্য ঢাকায় ঘৃণাস্তম্ভ হবে

প্রচ্ছদ » খেলা » স্বাধীনতাবিরোধীদের জন্য ঢাকায় ঘৃণাস্তম্ভ হবে

parkiamentনিজস্ব প্রতিবেদক: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার, আলবদর ও আলশামসদের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে একটি ঘৃণাস্তম্ভ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

রোববার জাতীয় সংসদে বেগম নাসিমা ফেরদৌসীর এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে স্থাপত্য অধিদফতরের মাধ্যমে এ স্তম্ভের নকশার খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগিরই নকশাটি চূড়ান্ত করা হবে।

তিনি বলেন, নকশা চূড়ান্ত করার পর ডিপিপি তৈরি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে। তবে আপাতত উপজেলা পর্যায়ে ঘৃণাস্তম্ভ নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা নেই। সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাওয়া গেলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

রাষ্ট্রীয় খরচে হাওয়া বদলের সুযোগ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের
সরকারি দলের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানানন, রাষ্ট্রীয় খরচে যুদ্ধাহত পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধারা বছরে একবার দেশের অভ্যন্তরে হাওয়া বদলের সুযোগ পাবেন।

পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধারা আবহাওয়া পরিবর্তনের সুযোগ পান উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্পূর্ণ পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বছরে একবার কক্সবাজারে আবহাওয়া পরিবর্তন বা ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

মন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মাসিক ভাতা ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধারা যেসব সুবিধা পাচ্ছেন তা হলো- আবাসন সুবিধা, রেশন সুবিধা, শিক্ষাভাতা, কন্যাদের জন্য বিবাহভাতা এককালীন ১৯ হাজার ২০০ টাকা, উৎসব ভাতা, স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে প্রীতিভোজ, ২০ শতাংশ ও তদূর্ধ্ব পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের দেশে-বিদেশে বিনাখরচে চিকিৎসা সেবা, মুক্তিযোদ্ধা মারা গেলে গার্ড অব অনারসহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন/সৎকার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের কৃত্রিম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন, সিটি কর্পোরশেন এলাকায় ১৫০০ বর্গফুটের বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স ও পানির বিল মওকুফ, যুদ্ধাহত পরিবারের দুই বার্নারের একটি গ্যাসের চুলার গ্যাস বিল মওকুফ, হুইল চেয়ারে চলাচলকারী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের মোবাইল বিল দেয়া হয়েছে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয়পত্রও দেয়া হয়েছে। এই পরিচয়পত্র দিয়ে রেল, বিমান, বাসে বিনাভাড়ায় যাতায়াতসহ বিভিন্ন সুযোগ পাচ্ছেন তারা।

এদিকে সরকারি দলের সংসদ সদস্য সুবিদ আলী ভূঁইয়ার প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে আবাদযোগ্য কৃষিজমি প্রায় ৭৯ দশমিক ৪৬ লাখ হেক্টর। আবাদযোগ্য কৃষি জমির মধ্যে চাষযোগ্য প্রায় ৫৩ শতাংশ।

শান্তিরক্ষী বাহিনীতে ছয় হাজার ৩৪১ জন সদস্য কর্মরত
সরকারি দলের সদস্য আনোয়ারুল আজীমের প্রশ্নের জবাবে সংসদ কাজে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদকে জানান, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বর্তমানে সশস্ত্র বাহিনীর ছয় হাজার ৩৪১ জন সদস্য কর্মরত আছেন। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর পাঁচ হাজার ৪৯৭ জন, নৌবাহিনীর ৩৪১ জন, বিমান বাহিনীর ৫০৩ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *