আবু জায়েদের নৈপুন্যে জয় পেল খুলনা

প্রচ্ছদ » Uncategorized » আবু জায়েদের নৈপুন্যে জয় পেল খুলনা

পুঁজিবাজার রিপোর্ট ডেস্ক: আবু জায়েদের অসাধারণ নৈপুন্যে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে জয় পেয়েছে খুলনা টাইটানস। জায়েদ ৪ ওভার বল করে চিটাগং ভাইকিংসের ৪ উইকেট শিকার করেছেন। এর বিনিময়ে তাকে দিতে হয়েছে মাত্র ৩৫ রান। অসাধারণ বোলিং নৈপুন্যের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কারটিও জিতেছেন তিনি। আর একটি করে উইকেট শিকার করেছেন বাফেট, জফরা আর্চার এবং শফিউল। নির্ধািরিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৫২ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় চট্টগ্রামের দলটি। ফলে খুলনা টাইটানসের কাছে ১৮ রানে হেরে গেছে চিটাগং ভাইকিংস।

আজ রোববার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৭১ রানের টার্গেট দেয় খুলনা টাইটানস। সেই লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমেছে চিটাগং ভাইকিংস। তবে ব্যাটিংয়ে নেমেই মাত্র ২ রানের মাথায় আউট হয়ে ফিরেছেন দুই ওপেনার। লুক রনচি দলীয় ও ব্যক্তিগত ২ রানে আবু জায়েদের বলে মাহমুদউল্লাহর হাতে ধরা পড়ে ফেরেন। এরপর শুন্য রানেই ফেরেন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার। আবু জায়েদের বলে বাফেটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সৌম্য।

সৌম্য ফিরে গেলে ক্রিজে আসেন দিলশান মুনাবিরা। কিন্তু ব্যক্তিগত ১০ রান এবং দলীয় ২১ রানের মাথায় আবু জায়েদের শিকার হয়েই ফেরেন তিনি। এরপর এনামুল হককে সঙ্গ দিতে ক্রিজে এসেছেন অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক। তবে ক্রিজে মিসবাহর সঙ্গে থাকা হল না এনামুল হকের। দলের ৩৮ রান এবং নিজের ১৮ রানের মাথায় বাফেটের বলে জফরার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এনামুল হক।

এনামুল ফেরার পর ক্রিজে আসেন সিকান্দার রাজা। অধিনায়ক মিসবাহর সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নেন তিনি। এরপর দলের ৯৭ রান এবং নিজের ৩৭ রানের মাথায় শফিউলের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন সিকান্দার রাজা।

এরপর মিসবাহকে সঙ্গ দিতে আসেন লুইস রিসি। কিন্তু রিসিকে ক্রিজে রেখেই দলীয় ১০৭ রান এবং ব্যক্তিগত ৩০ রানের মাথায় আবু জায়েদের বলে সাকিবের হাতে ধরা পড়েন মিসবাহ।

মিসবাহ ফেরার পর রিসিকে সঙ্গ দিতে আসেন তানবির হায়দার। কিন্তু দলীয় ১৩৭ রান এবং ব্যক্তিগত ২২ রানে জফরার শিকার হয়ে ফেরেন রিসি। এরপর ক্রিজে আসেন সানজামুল ইসলাম। তানবির ১৪ রান এবং সানজামুল ৫ রানে অপরাজিত থাকা অবস্থায় নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা শেষ হয়ে যায়। ফলে শেষ পর্যন্ত ১৮ রানে হেরে যায় চিটাগং ভাইকিংস।

এর আগে টসে হেরে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং আরিফুল হকের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে খুলনার সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১৭০ রান।

ওপেনিংয়ে নেমে প্রথমেই সানজামুলের শিকার হয়ে ফেরেন চ্যাডউইক ওয়ালটন। দলীয় ৬ রান এবং ব্যাক্তিগত ৫ রানে সৌম্যর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ওয়ালার ফিরে গেলে শান্তর সঙ্গে যোগ দেন মাইকেল ক্লিঙ্গার। তবে দলীয় সংগ্রহে মাত্র ২ রান যোগ করার পরই সানজামুলের পাতা এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন ক্লিঙ্গার। এরপর ক্রিজে আসেন রিলি রুশো। জুটি গড়েন শান্তর সঙ্গে। কিন্তু রুশোকে ক্রিজে ফেলেই বিদায় হন শান্ত। দলীয় ২৯ রান এবং ব্যক্তিগত ৯ রানের মাথায় মুনাবিরার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।

শান্ত ফেরার পর ক্রিজে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। রুশোর সঙ্গে জুটি বাঁধার চেষ্টা কারেন। কিন্তু রিয়াদকে ক্রিজে রেখেই দলীয় ৬৮ রান এবং ব্যক্তিগত ২৫ রানের মাথায় তাসকিনের বলে সৌম্যর হাতে ধরা পড়েন রুশো।

এরপর রিয়াদকে সঙ্গ দিতে আসেন আরিফুল হক। তবে দলের ১০৩ রান এবং ব্যক্তিগত ৪০ রানের মাথায় তাসকিনের বলে এনামুল হকের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন খুলনার অধিনায়ক রিয়াদ।

রিয়াদ ফেরার পর ক্রিজে আসেন কার্লোস বাফেট। আরিফুল হকের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলীয় সংগ্রহ দেড়শ ছাড়ানোর পর সাজঘরে ফেরেন বাফেট। দলীয় ১৫৮ রান এবং ব্যক্তিগত ৩০ রানে শুভাশীষের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।

এরপর ক্রিজে যোগ দেন জফরা আর্চার। আরিফুল হকের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান। কিন্তু দলীয় ১৭০ রান এবং ব্যক্তিগত ৪০ রানের মাথায় তাসকিনের বলে সৌম্যর তালুবন্দি হয়ে ফেরেন আরিফুল। এরপরই নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা শেষ হয়ে যায়। ফলে ব্যক্তিগত ১১ রানে অপরাজিত অব্স্থায়ই মাঠ ছাড়েন জফরা আর্চার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *