ই-কমার্সে প্রতারণা বন্ধে কমিটি হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
প্রচ্ছদ » Uncategorized » ই-কমার্সে প্রতারণা বন্ধে কমিটি হবে: বাণিজ্যমন্ত্রীনিজস্ব প্রতিবেদক: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, প্রচলিত বাণিজ্যের পাশাপাশি দেশে ই-বাণিজ্য বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ডিজিটাল প্রতারণা চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই প্রতারণা বন্ধে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হবে। এসব ক্ষেত্রে ভোক্তা অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নিবে সরকার।
আজ বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি মিলনায়তনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) আয়োজিত “বিশ্ব
ভোক্তা অধিকার দিবস-২০১৭” উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম লস্করের সভাপতিত্বে অনূষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব শুভাশীষ বসু, ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান, এফবিসিসিআই-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাহবুবুল ইসলাম এবং ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল ওয়াহেদ তমাল।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের ইশতিহার মোতাবেক বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন পাস করা হয়েছে। সে মোতাবেক
ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় জাতীয় কাউন্সিল থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ফলে কার্যক্রমের ফলে এখন ভোক্তাদের অভিযোগ অনেক কমে এসেছে, পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। এ পর্যন্ত বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ২৪,৫৩০টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১৭,৭২, ৫৬,১৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ভোক্তাদের সুরক্ষায় তথ্য প্রযুক্তিসহ সংশ্লিষ্ট সকল সেক্টরের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তবে ভোক্তাদের অধিকার সুরক্ষায় নিজেদের সচেতন থাকতে হবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জাতিকে দু‘টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। বাংলাদেশকে ডিজিটাল এবং মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করা। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। দেশ পরিচালনার বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ডিজিটাল কার্যক্রম চালু হয়েছে। দেশে ৫,২০০টি ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে প্রযুক্তির সুবিধা
প্রদান করা হচ্ছে। দেশের ৬.৭ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১১.৯ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। অফিসগুলো পেপারলেস হচ্ছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নিম্ন মধ্য আয়ের দেশে প্রবেশ করেছে। দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তরিত হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ভোক্তারাও ডিজিটাল সুবিধা ভোগ করছেন। ই-বাণিজ্যের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে। এক্ষেত্রে যাতে ভোক্তা অধিকার বঞ্চিত না হস, সে জন্য সরকার সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। একসময় দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের খাদ্যের অভাব ছিল, আজ দেশে ১৬ কোটি মানুষ, আবাদি জমির পরিমাণ কমেছে কিন্তু প্রয়োজনীয় খাদ্যের অভাব নেই।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।