ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটলমেন্ট কোম্পানি গঠনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের তাগিদ

প্রচ্ছদ » Uncategorized » ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটলমেন্ট কোম্পানি গঠনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের তাগিদ

পুঁজিবাজার রিপোর্ট ডেস্ক : শেয়ারবাজারে ইকুইটির বাইরে নতুন প্রডাক্ট চালু ও লেনদেন সহজতর করতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটলমেন্ট কোম্পানি গঠনে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে তাগাদা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

সচিবালয়ে সরকারের সঙ্গে বিএসইসির বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির অগ্রগতি নিয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ তাগিদ দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। ব্যাংক ও আর্থিক বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে বিএসইসির পক্ষে কমিশনার হেলাল উদ্দিন নিজামীসহ কমিশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা অংশ নেন।

সেখানে বিএসইসির অর্গানোগ্রাম, বাজার সৃষ্টিকারী বিধিমালা, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য ঘোষিত প্রণোদনা বাস্তবায়ন, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বিধিমালা ১৯৬৯-এর বাংলা সংস্করণ প্রকাশ, শেয়ারবাজার-সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ ও বুক বিল্ডিং পদ্ধতি আবারো সংশোধনের প্রয়োজনীয়তাসহ শেয়ারবাজার-সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে কোনো বিষয় চূড়ান্ত হয়নি। ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটলমেন্ট কোম্পানি ও বিএসইসির অর্গানোগ্রামসহ অনেকগুলো বিষয়ে আলোচনায় হয়েছে। ২৫ মার্চ আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সমন্বয় সভায় এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শেয়ারবাজারের মূল ইকুইটির বাইরে নতুন প্রডাক্ট চালু ও কমিশনের কার্যক্রম তুলে ধরে বিএসইসির প্রতিনিধি দল। এ সময় তারা ক্লিয়ারিং ও সেটলমেন্ট কোম্পানি গঠনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে জানান, প্রতিষ্ঠানটি চালু হলে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ড লেনদেনের পাশাপাশি শেয়ারবাজারে নতুন পণ্য যেমন ডেরিভেটিভস, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু করা সম্ভব হবে। এটি গঠিত হলে একদিনের মধ্যেই লেনদেন নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে। রেকর্ড ডেটে শেয়ারের লেনদেন বন্ধ থাকবে না, থাকবে না কোনো স্পট মার্কেটে লেনদেনের নিয়ম। আর লেনদেন সেটলমেন্টও হবে একদিনের মধ্যেই।

অগ্রগতি তুলে ধরে বিএসইসি জানায়, বিএসইসির প্রতিনিধি দল জার্মানি ও স্পেন ঘুরে এ বিষয়ে বিস্তারিত অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। এরই মধ্যে আইনটির খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামতের আলোকে চূড়ান্ত আইন প্রণয়নের কাজও চলছে বলে বৈঠকে জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, ক্লিয়ারিং ও সেটলমেন্ট কোম্পানি গঠনের উদ্দেশ্যে ২০১৫ সালের ৬ অক্টোবর ৫৫৫তম কমিশন সভায় এ-সংক্রান্ত খসড়া আইন অনুমোদন দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। পরবর্তীতে খসড়া আইনটির বিষয়ে শেয়ারবাজার ও আর্থিক খাতসংশ্লিষ্টদের মতামতও নিয়েছে বিএসইসি।

সূত্র: স্টকমার্কেটবিডি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *