চট্টগ্রামের বিপক্ষে সহজ জয় পেল কুমিল্লা

প্রচ্ছদ » Uncategorized » চট্টগ্রামের বিপক্ষে সহজ জয় পেল কুমিল্লা

পুঁজিবাজার রিপোর্ট ডেস্ক: চিটাগং ভা্‌ইকিংসের বিপক্ষে সহজ জয় তুলে নিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। টসে হেরে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে কুমিল্লাকে ১৪০ রানের টাগেট দেয় চিটাগং ভাইকিংস। সেই লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬্ উইকেট ও ১১ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়েছে কুমিল্লা।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ফেরেন ওপেনার তামিম ইকবাল। দলীয় ৭ রান এবং ব্যক্তিগত ৪ রানের মাথায় মুনাবিরার বলে শুভাশীষ রায়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তামিম। এরপর ওপেনার লিটন দাসকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আসেন ইমরুল কায়েস। তবে তাকে ক্রিজে রেখেই বিদায় হন লিটন দাস। দলীয় ৩৯ রান এবং নিজের ২১ রানের মাথায় মুনাবিরার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন লিটন দাস।

লিটন ফেরার পর ক্রিজে যোগ দেন জোস বাটলার। ইমরুল কায়েসের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে জয়ের খুব কাছাকাছি নিয়ে যান বাটলার। তবে দলীয় ১১৩ রান এবং ব্যক্তিগত ৪৫ রানে সানজামুল ইসলামের বলে তানবির হাদারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইমরুল কায়েস। এরপর বাটলারকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আসেন মারলোন স্যামুয়েলস। কিন্তু স্যামুয়েলসকে রেখেই ফিরে যান বাটলার। দলের ১৩৪ রান এবং ব্যক্তিগত ৪৪ রানের মাথায় সানজামুলের বলে রনচির হাতে ধরা পড়েন বাটলার।

বাটলার ফেরার পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি। তিনি দলীয় সংগ্রহে কোনো রান যোগ করার আগেই জয় নিশ্চিত করে কুমিল্লা। ফলে দলীয় সংগ্রহে ১৭ রান যোগ করে অপরাজিত অবস্থায়ই মাঠ ছাড়েন স্যামুয়েলস।

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রতিপক্ষ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১৪০ রানের টার্গেট দিয়েছে চিটাগং ভাইকিংস। নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে চিটাগংয়ের সংগ্রহ ১৩৯ রান।

ওপেনিংয়ে নেমে দলীয় ৪৬ রান এবং ব্যক্তিগত ৩১ রানের মাথায় সাইফুদ্দিনের এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন লুক রনচি। এরপর সৌম্যকে সঙ্গ দিতে আসেন দিলশান মুনাবিরা। তবে দলের ৮৩ রান এবং ব্যক্তিগত ৩০ রানের মাথায় মোহাম্মদ নবির শিকার হয়ে ফেরন সৌম্য।

সৌম্য ফেরার পর ক্রিজে আসেন সিকান্দার রাজা। কিন্তু দলীয় ৯৬ রান এবং ব্যক্তিগত ১৯ রানে রশিদ খানের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মুনাবিরা। এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক। সিকান্দার রাজার সঙ্গে জুটি বেঁধে দলীয় ১২০ রান সংগ্রহ করেন। এরপর ব্যক্তিগত ২০ রান ব্রাভোর বলে আল আমিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সিকান্দার রাজা।

এরপর মিসবাহকে সঙ্গ দিতে আসেন ক্রিস জর্দান। দলীয় সংগ্রহে মিসবাহ ১৬ রান এবং জর্দান ১৬ রান যোগ করতেই নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা শেষ হয়ে যায়। ফলে তারা দুইজনই অপরাজিত অবস্থায় মাঠ ছাড়েন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *