ডাবের পানি পান করার সঠিক সময়

প্রচ্ছদ » আজকের সংবাদ » ডাবের পানি পান করার সঠিক সময়

INBV-Coconut-Water-shutterstockপুঁজিবাজার রিপোর্ট ডেস্ক: ডাবের পানি সর্বোৎকৃষ্ট প্রাকৃতিক পানীয়। মানুষের জন্য এটি সৃষ্টিকর্তার একটি রহমত যা অন্য কিছুর সাথে তুলনা হয় না। অন্যসব পানীয়ের মতো ডাবের পানি পান করার উৎকৃষ্ট সময় নেই। দিনে যেকোনো সময় ডাবের তাজা পানি পান করলে ভালো বোধ করবেন আপনি। তবে দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে এ পানি পান করলে স্বাস্থ্যের জন্য দ্বিগুণ ফল বয়ে আনবে। আসুন ডাবের পানি পানের উৎকৃষ্ট সময় সম্পর্কে জেনে নিই-

লো ক্যালোরি, প্রাকৃতিক এনজাইম ও খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ ডাবের পানি এক অলৌকিক পানীয়। গরমের দিনে এ পানি তাপপ্রবাহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ও শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায়। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম এবং ডায়াবেটিস ফাইবারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর উপাদান।

সকালে খালি পেটে: সকালে খালি পেটে ডাবের পানি পানের অনেক উপকারিতা। ডাবের পানিতে থাকা লোরিক অ্যাসিড আপনার হজমে সাহায্য করে এবং ওজন কমায়। গর্ভবতী নারীদের ডিহাইড্রেশন ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে ডাবের পানি পানের পরামর্শ দেওয়া হয়। এটা গর্ভবতীদের সকালের অসুস্থতা ও অম্বল থেকে মুক্তি দেয়।

কাজের আগে ও পরে: এটি শরীরের পানিশূন্যতা পূরণ করে ও কাজের শক্তি যোগায়। এ পানি কাজের সময় শরীর থেকে হারানো ইলেক্ট্রলাইট আবার পূর্ণ করে দেয় এবং ক্লান্তি ও অবসাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে।

খাওয়ার আগে ও পরে: খাওয়ার আগে এক গ্লাস ডাবের সতেজ পানি পান আপনাকে পরিপূর্ণতা দেবে ও অতিরিক্ত আহার প্রতিরোধ করবে। ডাবের পানিতে কম ক্যালোরি থাকায় এটি পাকস্থলির জন্য সহনীয়। এটা পান করলে দ্রুত হজমে সহায়তা করে ও খাবার পর পেটে গ্যাস হতে দেয় না। প্রতিদিন খাবার আগে ডাবের পানি পান করলে শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় থাকে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে ও বিপাক প্রক্রিয়া উন্নত রাখে।

ঘুমানোর আগে: ডাবের পানির মিষ্টি ঘ্রাণের মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব আছে, যা হতাশা দূর করতে সাহায্য করে ও হৃদস্পন্দনকে ধীর রাখে। ঘুমানোর আগে ডাবের পানি পান শরীর থেকে ক্ষতিকর বর্জ্র বের করে দেয়, প্রসাবের সংক্রমণ ও কিডনি সমস্যা দূর করে এবং প্রস্রাব স্বাভাবিক রাখে।

তীব্র শারীরিক অস্বস্তি কাটাতে: তীব্র শারীরিক অস্বস্তি কাটাতে এক গ্লাস ডাবের পানি হতে পারে সেরা উপাদান। অ্যালকোহল পানের পর আপনার শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে, যা পরের দিন সকালে মাথাব্যথা ও বিবমিষা তৈরি করতে পারে। ডাবের পানি এসবের বিরুদ্ধে লড়াই করে আপনাকে সুস্থতা দিতে পারে।

ডাবের পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য পুষ্টি। এতে পটাশিয়াম আছে প্রচুর পরিমাণে। বমি হলে মানুষের রক্তে পটাশিয়ামের পরিমাণ কমে যায়। ডাবের পানি পূরণ করে এই ঘাটতি। তাই অতিরিক্ত গরম, ডায়রিয়া, বমির জন্য উৎকৃষ্ট পানীয় ডাবের পানি।

সতর্কতা:
ডায়াবেটিসের রোগীরা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রেখে ডাবের পানি পান করবেন।
কিডনিতে পাথর হয়েছে বা ডায়ালাইসিস চলছে, এ ধরনের রোগীরা ডাবের পানি পান করবেন না। কারণ, এতে রয়েছে উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম, যা কিডনি রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Live Video

[ytplayer id=33256]

সম্পাদকীয়

অনুসন্ধানী

বিনিয়োগকারীর কথা

আর্কাইভস

April ২০২৪
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Mar    
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০