পর্ষদের সভা আজ : চীনা এক্সচেঞ্জকেই কৌশলগত অংশীদার চায় ডিএসই
প্রচ্ছদ » Uncategorized » পর্ষদের সভা আজ : চীনা এক্সচেঞ্জকেই কৌশলগত অংশীদার চায় ডিএসইপুঁজিবাজার রিপোর্ট ডেস্ক: কৌশলগত অংশীদার হিসেবে চীনা শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জকেই পেতে চায় দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ের পর ডিএসইর পর্ষদ চীনা দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে অনুমোদনও দিয়েছে। সেই বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আনুষ্ঠানিক কোনো প্রস্তাব এখনো পাঠায়নি ডিএসই। আজ সোমবার আবারও বিকেল ৩টায় পর্ষদ সভা ডেকেছে ডিএসই। এদিকে কৌশলগত অংশীদার নিয়ে চীন-ভারতের টানাটানির খবরে পুঁজিবাজারে ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে। শেয়ার বিক্রির চাপে দুই পুঁজিবাজারে বড় পতন ঘটেছে। ডিএসইর সূচক কমেছে ৯৯ পয়েন্ট আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক কমেছে ১৭৮ পয়েন্ট। একই সঙ্গে বেশির ভাগ কম্পানির শেয়ারের দামও নিম্নমুখী।
কৌশলগত অংশীদার নির্ধারণে শেয়ারের দাম ও কারিগরি সহায়তায় ‘আকর্ষণীয়’ প্রস্তাব মনে হওয়ায় চীনা কনসোর্টিয়ামকে বেছে নেওয়া হয়। ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ, ফ্রন্টিয়ার বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের নাশডাক ত্রিদেশীয় কনসোর্টিয়াম ‘কম’ দাম প্রস্তাব করে অংশীদার পেতে নানান চেষ্টা চালায়। ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেন ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সিইও। বিএসইসিও ডিএসইর চেয়ারম্যান ও এমডিকে ডেকে নিয়ে বৈঠক করে। অংশীদার পেতে ডিএসইর ওপর চাপ প্রয়োগেরও অভিযোগ ওঠে।
জানা যায়, কৌশলগত অংশীদার বাছাই এক সপ্তাহ হলেও এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পায়নি কমিশন। ডিএসই পর্ষদ বাছাই করলেও অংশীদারের চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে কমিশন। আজ ডিএসইর পর্ষদ সভায় সিদ্ধান্ত হতে পারে প্রস্তাব পাঠানোর বিষয়ে। অংশীদার বাছাইয়ে চাপ ও অনৈতিক হস্তক্ষেপ আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল। এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে কমিশন বলেছে, টিআইবি না জেনেই এমন বক্তব্য দিয়েছে, যা তাদের কাছ থেকে আশা করি না। চাপ কিংবা অনৈতিক প্রস্তাবের বিষয়ে কোনো প্রমাণ থাকলে চেয়েছে কমিশন।
ডিএসই সূত্র বলছে, চীনা দুই প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাব আকর্ষণীয়। পর্ষদের অনুমোদনের পর ডিএসইর চেয়ারম্যান ও এমডিকে ডেকে নিয়ে নানা কথা বলা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক বা লিখিতভাবে কোনো চাপ দেয়নি এটা ঠিক তবে ভারতীয় কনসোর্টিয়ামকে দেওয়ার পক্ষেও নানা কথা বলা হয়েছে। যার জন্যই প্রস্তাব পাঠাতে দীর্ঘায়িত হয়েছে।
ডিএসইর এক পরিচালক বলেন, ‘আমরা মনে করি, চীনা দুই প্রতিষ্ঠানই যুক্তিযুক্ত। তাদের প্রস্তাব আকর্ষণীয় হওয়ায় আমরা তাদের বেছে নিয়েছি। এখন চূড়ান্ত করতে কমিশনের অনুমোদন প্রয়োজন। আমরা আশা করি কমিশন আমাদের প্রস্তাবে সায় দেবে।’
কী বিষয়ে পর্ষদ সভা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কৌশলগত বিনিয়োগকারী নিয়ে কী কী করা যায় আর যেসব ঘটনা ঘটে গেছে সেসব নিয়ে আলোচনা হবে। প্রস্তাব পাঠানোর বিষয়েও আলোচনা হতে পারে।
সূত্র: কালের কণ্ঠ।