পুলিশের কাণ্ড: সিনেমার গল্পকেও হার মানিয়েছে !

প্রচ্ছদ » জাতীয় » পুলিশের কাণ্ড: সিনেমার গল্পকেও হার মানিয়েছে !

bbrariaব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক ব্যক্তিকে কৌশলে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় সদর মডেল থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রফিকুল ইসলাম ও কনস্টেবল শরীফুল ইসলামসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে অপহরণের শিকার জাকির হোসেন ভূইয়া বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন। মামলার অপর আসামি সদর উপজেলার বেতবাড়িয়া এলাকার আল আমিনের স্ত্রী আঁখি আক্তার। মামলায় এএসআই রফিকুল, কনস্টেবল শরীফুলকে ও আঁখিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরশহরের মসজিদ রোডস্থ পূবালী ব্যাংকের সামনের সড়কে দাঁড়িয়েছিলেন জাকির হোসেন।

এ সময় আঁখি অসুস্থতার ভান করে জাকিরের গায়ে ধাক্কা দিয়ে তাকে একটি রিক্শায় উঠিয়ে দিতে বলেন। পরে রিক্শায় উঠিয়ে দিলে আঁখি তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন।

মানবিক কারণে জাকির তাকে বাড়ি পৌঁছে দিতে রাজি হন। পরে আঁখির কথামতো জাকির তার বাড়িতে প্রবেশ করলে সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা সদর থানা মডেল থানা পুলিশের এএসআই রফিকুল ইসলাম ও কনস্টেবল শরীফুল ইসলাম তার চোখ বেঁধে হত্যার হুমকি দেন।

এ সময় তারা জাকিরের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে তিন লাখ টাকা দাবি করে সেই টাকা বিকাশের মাধ্যমে এনে দেয়ার কথা বলেন মর্মে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, জাকির মুক্তিপণের টাকার জন্য তার আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এএসআই রফিকুল ও কনস্টেবল শরীফুলের কথা মতো কয়েকটি বিকাশ নম্বরে ৮৩ হাজার টাকা এনে দেন।

আরও টাকা আনার জন্য জাকির আরেক আত্মীয়কে ফোন দিয়ে বিকাশ নম্বর দিলে ওই আত্মীয় সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নবীর হোসেনকে বিষয়টি জানান।

পরে প্রযুক্তির ব্যবহার করে জানা যায়, বিকাশ নম্বরটি শহরের মধ্যপাড়া এলাকার ‘মা জেনারেল স্টোর অ্যান্ড টেলিকম’র। বিষয়টি অপহরণকারীরা জানতে পেরে জাকিরকে বেধড়ক মারধর করে একটি সিএনজি অটোরিকশায় তুলে শহরের পুনিয়াউট এলাকায় ফেলে দেন।

এরপর জাকির থানায় এসে পুরো ঘটনাটি ওসি নবীর হোসেনকে জানালে ওদিন রাতেই এএসআই রফিকুল, কনস্টেবল শরীফুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মঙ্গলবার সকালে আঁখিকে গ্রেফতার করা হয়।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নবীর হোসেন বলেন, আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা পেলেই পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Live Video

[ytplayer id=33256]

সম্পাদকীয়

অনুসন্ধানী

বিনিয়োগকারীর কথা

আর্কাইভস

April ২০২৪
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Mar    
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০