ফার্স্ট লেডি গ্রেস মুগাবে কোথায়?
প্রচ্ছদ » Uncategorized » ফার্স্ট লেডি গ্রেস মুগাবে কোথায়?পুঁজিবাজার রিপোর্ট ডেস্ক: রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জিম্বাবুয়ের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে গৃহবন্দি করেছে- এমন তথ্য পাওয়া গেলেও ফার্স্ট লেডি গ্রেস মুগাবে কোথায় আছেন, তার কোনো তথ্য জানা যায়নি।
মুগাবের সম্ভাব্য উত্তরাধিকারী গ্রেস মুগাবে সম্পর্কে কোনো তথ্য দেয়নি সেনাবাহিনী। তবে তারা দাবি করেছে, মুগাবের পরিবারের সদস্যরা নিরাপদ আছেন।
দেশের নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নেওয়ার পর প্রেসিডেন্ট মুগাবের ভবিষ্যৎ কী হবে- সেনাবাহিনীর কাছ থেকে এ বিষয়ে বার্তার জন্য অপেক্ষা করছে জিম্বাবুয়ের জনগণ।
দক্ষিণ আফ্রিকা অঞ্চলের মন্ত্রীরা জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারেতে গিয়েছেন এবং তারা সেনাবাহিনী ও দেশটির সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করছেন। আঞ্চলিক জোট সাউদার্ন আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট কমিউনিটি (এসএডিসি) বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠকে বসার ঘোষণা দিয়েছে।
১৯৮০ সালে যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর জিম্বাবুয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মুগাবে। ১৯৮০-১৯৮৭ সাল পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং ১৯৮৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার বয়স এখন ৯৩ বছর।
মুগাবের পর জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট কে হবেন, তা নিয়ে সম্প্রতি ডেপুটি প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়ার সঙ্গে মুগাবে পরিবারের বিরোধ সৃষ্টি হয়। মুগাবে তার স্ত্রী গ্রেসকে ডেপুটি প্রেসিডেন্ট হিসেবে নানগাগওয়ার স্থলাভিষিক্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে নানগাগওয়াকে বহিষ্কার করেন। কিন্তু তার বহিষ্কারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সেনাপ্রধান এবং সোমবার তিনি মুগাবে সরকারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দেন। নানগাগওয়াকে বহিষ্কার নিয়ে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল জানু-পিএফ পার্টির মধ্যে ভাঙন দেখা দেয়। মঙ্গলবার থেকে নাটকীয় পরিবর্তন শুরু হয় জিম্বাবুয়েতে।
গ্রেস মুগাবের ঘনিষ্ট মহল সেনাবাহিনীর ব্যাপক চাপের মুখে রয়েছে। গ্রেসের অনুগত জানু-পিএফ পার্টির তরুণ শাখার নেতা কুদজাই চিপাঙ্গা বুধবার টেলিভিশনে প্রচারিত বিবৃতিতে সেনাপ্রধানের সমালোচনার করায় তার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। চিপাঙ্গা এখন সেনাবাহিনীর হেফাজতে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
হারারের গণমাধ্যমকর্মীরা জানার চেষ্টা করছেন, মুগাবের পরিণতি কী হবে। তাদের ধারণা, তাকে পদত্যাগ করার প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে।
তথ্যসূত্র : বিবিসি অনলাইন