বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য যত সুবিধা

প্রচ্ছদ » Breaking News || Slider || আজকের সংবাদ » বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য যত সুবিধা

পুঁজিবাজার রিপোর্ট ডেস্ক : শেয়ার বাজারকে গতিশীল করতে কাজ করছে সরকার। বাজারের উন্নয়নে বিগত কয়েক বছরে অনেক সংস্কার হয়েছে। সংস্কারের সুফল পেতে শুরু করেছেন বিনিয়োগকারীসহ শেয়ার বাজার সংশ্লিষ্ট স্টেইকহোল্ডাররা। বাজারকে আরো গতিশীল করতে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে বেশ কিছু ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

শেয়ার বাজারের সব ধরনের সেবার ফিতে ভ্যাট অব্যাহতি দিয়েছে সরকার। প্রতি বছর ব্রোকার ও ডিলারদের লাইস্যান্স নবায়ন, সিডিবিএল ফি, মার্চেন্ট ব্যাংকারদের বাৎসারিক ফি, ট্রেক নবায়ন, বিক্রয় প্রতিনিধিদের ট্রেড সার্টিফিক্যাট (টিসি) এবং প্রতি ৫ বছর পর অনুমোদিত প্রতিনিধিদের লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়। এর সঙ্গে ভ্যাট সম্পৃক্ত আছে। এগুলো থেকে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

টিআইএন-এর জন্য নিয়মিত রিটার্ন জমা দিতে হয়। রিটার্নে কর হিসাবে ভুল আসলে অনেক ঝামেলা পোহান টিআইএনধারীরা। তাই এমন করদাতার জন্য এবারের বাজেটে কিছুটা সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এ জন্য আয়কর অধ্যাদেশের ৮২ বিধি ধারা সংশোধন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

পুঁজিবাজারে ডিভিডেন্ড আয় থেকে কর অব্যাহতি পেতে অনেকে ১২ অঙ্কের টিআইএন ব্যবহার করেন। কারণ টিআইএন ধারীরা ডিভিডেন্ড আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর থেকে ৫ শতাংশ রেয়াত পান। অর্থাৎ করদাতারা ডিভিডেন্ড আয়ের ওপর ১০ শতাংশ কর দেন। তা ছাড়া কোম্পানির পরিচালক, স্পন্সর শেয়ার হোল্ডারদের বাধ্যতামূলক টিআইএন থাকতে হবে। বাজেটে এই ধারাটি সংশোধন করায় করদাতারা স্বস্তি পাবেন। যেমন আপনি রিটার্ন জমা দিয়ে ফেলেছেন। এরপর কর কর্মকর্তা খুঁজে পেলেন আপনার রিটার্নে কিছু ভুল আছে। এমন পরিস্থিতিতে কর কর্মকর্তা ওই করদাতাকে এই ভুলটি জানিয়ে চিঠি দেবেন। ওই করদাতা ভুল সংশোধন করে পুনরায় রিটার্ন জমার সুযোগ পাবেন।

কর কর্মকর্তা রিটার্ন বিবরণী নিরীক্ষা করে কিছু না পেলে কর পরিমাণ পুনর্মূল্যায়ন করতে পারবেন না। যদি নিরীক্ষায় কর পাওনা হয়, তবে ওই করদাতাকে চিঠি দিয়ে কর দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। ওই করদাতা পুনরায় সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করে কর দিতে পারবেন। কোনো করদাতা যদি আগের বছরের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি কর দেন; তবে ওই করদাতার কর নথি নিরীক্ষায় ফেলা যাবে না। এত দিন ২০ শতাংশের বেশি কর দিলে এই সুবিধা ভোগ করতেন করদাতারা।

পুঁজিবাজারে স্বল্প ও মাঝারি কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্তি এবং লেনদেনের জন্য আলাদা প্লাটফর্ম গঠনের কাজ চলছে বলে বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছিলেন। এর জন্য বিএসইসি নীতি সহায়তাও দিচ্ছে। এ প্লাটফার্মে লেনদেনের জন্য যোগ্য বিনিয়োগকারীর জন্য আইন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশন (কোয়ালিফায়েড ইনভেস্টর অফার বাই স্মল ক্যাপিটাল কোম্পানিজ) রুলস, ২০১৬ প্রণয়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া এক্সচেঞ্জে নতুন পণ্য এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) গঠনে ইটিএফ রুল, ২০১৬ গ্যাজেট হয়েছে।

এ ছাড়া অর্থমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, পুঁজিবাজারে দীর্ঘ মেয়াদে উন্নয়নের জন্য আলাদা ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটেলমেন্ট কোম্পানি প্রতিষ্ঠান করা হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় আইন ইতিমধ্যে প্রণয়ন হয়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জের ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশন বাস্তবায়নের জন্য কৌশলগত বিনিয়োগকারী (স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার) খোঁজার কাজ চলছে বলেও অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তব্যে জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *