বার্ষিক কর্মসম্পাদনে শীর্ষে আইসিটি, সবার পেছনে গণপূর্ত

প্রচ্ছদ » Uncategorized » বার্ষিক কর্মসম্পাদনে শীর্ষে আইসিটি, সবার পেছনে গণপূর্ত

পুঁজিবাজার রিপোর্ট ডেস্ক :২০১৯-২০ অর্থবছরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) অর্জিত নম্বর প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় কমিটির চূড়ান্ত করা নম্বর গত মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) প্রকাশ করা হয়।

১০০-এর মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ ৯৮ দশমিক ৯৭ নম্বর পেয়ে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। আর সবার পেছনে রয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয়ের প্রাপ্ত নম্বর ৬৫ দশমিক ৫৫।

৯৩ দশমিক ১৩ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। ৯১ দশমিক ৯০ নম্বর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে অর্থ বিভাগ।

২০১৯-২০ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদনের চুক্তির নম্বরের গড় ছিল ৮৪ দশমিক ০৪। এর আগের বছর (২০১৮-১৯) ৯৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ নম্বর নিয়ে শীর্ষে ছিল বিদ্যুৎ বিভাগ। গত বছরও সবার শেষে ছিল গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

আগামী এক বছর মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো কী কাজ করবে, সেটার একটি অঙ্গীকারনামাই হচ্ছে এপিএ বা বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে সিনিয়র সচিব ও সচিবরা স্বাক্ষর করেন। মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো অধীনস্থ দফতর/সংস্থাগুলোর সঙ্গে এপিএ চুক্তি করে থাকে।

চুক্তি অনুযায়ী বাস্তবায়ন পরিস্থিতি বিবেচনা করে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় কমিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে নম্বর দিয়ে থাকে।

২০১৯-২০ অর্থবছরে পর্যায়ক্রমে রয়েছে- পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ (৯১ দশমিক ০৯), পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় (৯০ দশমিক ৯০), পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় (৯০ দশমিক ৭৭), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় (৮৯ দশমিক ০৮), বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় (৮৮ দশমিক ৬১), বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় (৮৮ দশমিক ৫৪), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় (৮৮ দশমিক ২৯), সেতু বিভাগ (৮৮ দশমিক ১০), স্থানীয় সরকার বিভাগ (৮৮ দশমিক ০৫), অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (৮৭ দশমিক ৫৯), সুরক্ষা সেবা বিভাগ (৮৬ দশমিক ৪৩), তথ্য মন্ত্রণালয় (৮৬ দশমিক ২৫), পরিকল্পনা বিভাগ (৮৬ দশমিক ১৮), বিদ্যুৎ বিভাগ (৮৫ দশমিক ০৮), ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় (৮৪ দশমিক ৯৮), সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় (৮৪ দশমিক ৯৭), শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় (৮৪ দশমিক ৫৭) এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ (৮৪ দশমিক ২২)।

এছাড়া প্রাপ্ত নম্বরের ক্রম অনুসারে রয়েছে- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় (৮২ দশমিক ৯১), জননিরাপত্তা বিভাগ (৮২ দশমিক ০৫), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ (৮১ দশমিক ৯২), আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (৮১ দশমিক ৭৭), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (৮১ দশমিক ৭৬), যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় (৮১ দশমিক ৩৩), অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (৮১ দশমিক ১০), পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ (৮০ দশমিক ৭০), প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় (৮০ দশমিক ৫৪), কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ (৮০ দশমিক ৩৯), খাদ্য মন্ত্রণালয় (৮০ দশমিক ৩২), মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় (৭৯ দশমিক ৮৪), লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ (৭৯ দশমিক ৫০), স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ (৭৯ দশমিক ৩৮), পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় (৭৯ দশমিক ২২), রেলপথ মন্ত্রণালয় (৭৮ দশমিক ৮১), শিল্প মন্ত্রণালয় (৭৭ দশমিক ৭৬), ভূমি মন্ত্রণালয় (৭৭ দশমিক ৭৫), বাণিজ্য মন্ত্রণালয় (৭৭ দশমিক ৪৩), প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় (৭৭ দশমিক ১৪), বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (৭৬ দশমিক ৯৫), স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ (৭৬ দশমিক ৬২), ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ (৭৫ দশমিক ৮৭), সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ (৭৫ দশমিক ৬৪), সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় (৭৫ দশমিক ১৭), মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় (৭৩ দশমিক ৮৫), নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় (৭২ দশমিক ০৪), মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় (৭০ দশমিক ৭০), আইন ও বিচার বিভাগ (৬৬ দশমিক ০৯) এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় (৬৫ দশমিক ৫৫)।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব (কর্মসম্পাদন নীতি ও মূল্যায়ন অধিশাখা) মো. মামুনুর রশীদ ভূঞা , ‘আগামী বছরের জুলাইয়ে যখন পরবর্তী বছরের এপিএ স্বাক্ষর হবে, তখন প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ২০১৯-২০ অর্থবছরের শীর্ষে থাকা ১০ মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে পুরস্কৃত করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে পেছনের দিকে রয়েছে, আমরা তাদের সঙ্গে বৈঠক করে থাকি। আলোচনা করে সমস্যা চিহ্নিত করা হয়। প্রয়োজনে তাদেরকে সহযোগিতা দেয়া হয়। এবারও আমরা এটি করব। তবে করোনা পরিস্থিতিতে সবার কাজই বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ফলাফলেও সেটার প্রভাব পড়েছে।’

পুঁজিবাজার রিপোর্ট – নূ/আ/সি/২রা জানুয়ারি, ২০২১।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *