বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোতে স্বর্ণ মজুদ ১৮ বছরে সর্বোচ্চ
প্রচ্ছদ » Breaking News || Slider || অর্থনীতি » বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোতে স্বর্ণ মজুদ ১৮ বছরে সর্বোচ্চপুঁজিবাজার রিপোর্ট ডেস্ক : ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচন ও ব্রেক্সিট ভোটে ভূ- রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা যোগ হওয়ার পর বিশ্বে সরকারিভাবে স্বর্ণ মজুদের হার বেড়ে গেছে। এই রিজার্ভ ১৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছেছে।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের খবরে বলা হচ্ছে, বিভিন্ন দেশের স্বর্ণ রিজার্ভের পরিমাণ ৩৭৭ টন বেড়ে ৩১ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে; যা ১৯৯৯ সালের পর সর্বোচ্চ।
৭৫০ কেন্দ্রীয় ব্যাংক, সরকারি পেনশন পরিকল্পনা ও সার্বভৌমত্ব ফান্ডের ওপর জরিপ চালিয়ে এ তথ্য তুলে ধরেছে অফিসিয়াল মনিটারি অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল ফোরাম (ওমফিফ) নামের একটি সংস্থা।
সংস্থার প্রধান অর্থনীতিবিদ ডানাই কিরাকোপোলৌ জানিয়েছেন, স্বর্ণ ‘হ্যাভেন অ্যাসেট’ নামে খ্যাত। ভূ-অঙ্গনে একটু অস্থিরতায় সোনালী এই ধাতুটির দাম ক্রমবর্ধমান থাকে। সে কারণে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগকারীরা পণ্যটির দিকে বেশি ঝুঁকে থাকে; মজুদ বাড়ায়।
জরিপে নেতৃত্ব দিয়েছেন এই অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া (ব্রেক্সিট) ইস্যু সবচেয়ে বড় ঘটনা; যা ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করে। আর সে কারণে স্বর্ণ খাতের বিনিয়োগকারীরা পণ্যটি এসময় সবচেয়ে বেশি মজুদ করেছে।
তবে আরেক গবেষক জানান, নির্বাচন যেহেতু বছরের শেষ সময়ে হয়েছে, তাই এরচেয়ে ডলারের মূল্য পতনই স্বর্ণের মজুদ বাড়াতে সহায়তা করেছে। এক হিসাবে দেখা যায়, বিশ্বের প্রধান প্রধান মুদ্রার বিপরীতে ডলারের মূল্যপতন হয়েছে ১০ শতাংশ পর্যন্ত।
“বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকারি প্রতিষ্ঠান গত কয়েক বছর স্বর্ণ মজুদে কৌশলগত পরিবর্তন এনেছে। তারা এ হার বাড়িয়েছে।”
তিনি বলেন, বিশেষ করে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এখন প্রচুর ডলার রিজার্ভ আছে; মুদ্রার বিনিময় হারের সদ্ব্যবহার করতে যা দিয়ে তারা স্বর্ণ কিনে রাখছে।”
ওমফিফের তথ্য মতে, রাশিয়া, চীন ও কাজাখস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত বছর সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ ক্রেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
সাকের নৌশিবাহ নামের এক অর্থনীতিবিদ জানান, স্বর্ণ হচ্ছে অনিশ্চয়তার সময়কার ভরসা। মূল্যস্ফীতি বাড়ানো ঠেকাতেও সরকারি খাতের বিনিয়োগকারীরা এর রিজার্ভ বাড়াচ্ছে।