মানবতাবিরোধী অপরাধ : ৩ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৫ জনের ২০ বছর করে জেল

প্রচ্ছদ » Uncategorized » মানবতাবিরোধী অপরাধ : ৩ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৫ জনের ২০ বছর করে জেল

পুঁজিবাজার রিপোর্ট ডেস্ক : একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের ৯ আসামির মধ্যে ৩ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৫ জনের ২০ বছর করে কারাদণ্ড ও আব্দুল লতিফ নামের একজনকে খালাস দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা পৌনে ১২টার দিকে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান মো. বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। সদস্য বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি আমির হোসেন ও বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার।

রায়ে মো. সামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম, এ এফ এম ফয়জুল্লাহ (পলাতক), আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডলকে (পলাতক) আমৃত্যু দণ্ড দেয়া হয়েছে। ২০ বছর করে সাজা দেয়া হয় মো. খলিলুর রহমান, মো. আব্দুল্লাহ, মো. রইছ উদ্দিন আজাদী ওরফে আক্কেল আলী, আলিম উদ্দিন খান (পলাতক) ও সিরাজুল ইসলাম তোতাকে। আব্দুল লতিফকে খালাস দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

রায় ঘোষণার পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রসিকিউটর মো. মোখলেসুর রহমান বাদল বলেন, এটিই প্রথম মামলা যেখানে একজন আসামিকে খালাস দিলেন ট্রাইব্যুনাল। আর এটিই প্রথম মামলা যেটিতে কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়নি।

আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় চারজনকে হত্যা ও ৯ জনকে আটক এবং নির্যাতনের চারটি অভিযোগ রয়েছে। ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ তাদের বিচার শুরু হয়। বিচারকাজ শেষ হয় গতবছরের ২৬ জানুয়ারি। আসামিদের মধ্যে চারজন পলাতক ছিলেন। আজ পাঁচজনকে হাজির করা হয় ট্রাইব্যুনালে।

তবে রায়ের দিন সকালে পলাতক এক আসামি আলিমুদ্দিন খান ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রায় ঘোষণার পর সে আসল আসামি কিনা যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর মামলার তদন্ত শুরু হয়ে ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি শেষ হলে ২০ ফেব্রুয়ারি প্রসিকিউনে জমা হয়। তদন্তে ৬০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হলেও ২৯ জনকে সাক্ষী করা হয়েছিল। এছাড়া জব্দ তালিকার সাক্ষী ছিলেন আরও দুজন। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ (আইও) মোট ১৮ জন সাক্ষী দেন আদালতে।

অভিযোগ গঠনের পর ২০১৮ সালের ১০ মে থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শুরু হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ (আইও) মোট ১৮ জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দি পেশ ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্কের সমাপ্তির মধ্য দিয়ে ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্যে সিএভি অপেক্ষমাণ রাখেন।

পুঁজিবাজার রিপোর্ট – আ/ব/সি/ ১১ ফেব্রুয়ারী , ২০২১।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Live Video

[ytplayer id=33256]

সম্পাদকীয়

অনুসন্ধানী

বিনিয়োগকারীর কথা

আর্কাইভস

April ২০২৪
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Mar    
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০