মার্কের মিথ্যা তথ্যের মামলা : এক জনের সাক্ষ্য গ্রহণ, দ্বিতীয় সাক্ষীর সাক্ষ্য ১৫ জুন
প্রচ্ছদ » Uncategorized » মার্কের মিথ্যা তথ্যের মামলা : এক জনের সাক্ষ্য গ্রহণ, দ্বিতীয় সাক্ষীর সাক্ষ্য ১৫ জুননিজস্ব প্রতিবেদক : মার্ক বাংলাদেশ শিল্প অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রসপেক্টাসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে শর্তসাপেক্ষে বিএসইসির আইপিও অনুমোদন ও জাল শেয়ার লেনদেন কেলেঙ্কারি মামলার প্রথম সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এই মামলার দ্বিতীয় সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে আগামী ১৫ জুন।
পুঁজিবাজার সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রোববার পুঁজিবাজার বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক আকবর আলী শেখ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
এবিষয়ে বিএসইসির আইনজীবী মাসুদ রানা বলেন, আজ মামলাটির বাদী পক্ষের প্রথম সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
কোম্পানিটি প্রসপেক্টাসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে শর্তসাপেক্ষে বিএসইসির আইপিও অনুমোদন লাভ করে। মামলাটির পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ১৫ জুন। ওই দিন দ্বিতীয় সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ১০ জানুয়ারি বিএসইসি থেকে ১০০ টাকা প্রিমিয়াম নিয়ে শর্তসাপেক্ষে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পায় কোম্পানিটি। এরপর কোম্পানিটি প্রসপেক্টাস প্রকাশ করে। অভিযোগ, প্রকাশিত ওই প্রসপেক্টাসে কোম্পানিটি মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করেছে; একই সঙ্গে শতভাগ প্রিমিয়ামে সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরকে শেয়ার কিনতে প্রলুব্ধ করেছে। আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত টাকার সঠিক ব্যবহার কোম্পানি করেনি।
ওই প্রসপেক্টাসে অস্থিত্বহীন প্লান্ট ও মেশিনারিজকে কোম্পানির সম্পদ হিসেবে দেখানো হয়। একইসঙ্গে মালিকাধীন প্লান্ট এবং মেশিনারিজের অধিক মূল্য দেখানো হয়।
১৯৯৯ সালে বিএসইসি স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে। ওই বৈঠকে আসামী কোম্পানিসহ মোট ১৬টি কোম্পানিকে চিহিৃত করে; তাদের ট্রেড সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ আসামী কোম্পানির বুক ক্লোজারের সিন্ধান্ত নেয়।
এরপর এ নিয়ে বিএসইসি একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে।এর কমিটির দাখিলকৃত প্রতিবেদন যাচাই করা হয়। তাতে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
এই মামলার সাক্ষীরা হলেন- বিএসইসির উপ-পরিচালক এএসএম মাহমুদুল হাসান, সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশের (সিডিবিএল) উপ-ব্যাবস্থাপনা পরিচালক শুভ্রকান্তি চৌধুরী, তৎকালীন বিএসইসি উপ পরিচালক ফরহাদ আহমেদ এবং তারিকুজ্জামান।
এ মামলার আসামিরা হলেন- মার্ক বাংলাদেশ শিল্প অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমাম মুলকুতুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হাই এবং পরিচালক সালমা আক্তার।