মেয়ে শিশুদের প্রাপ্ত বয়স্ক দেখিয়ে সনদ দেয়ার অভিযোগ

প্রচ্ছদ » Uncategorized » মেয়ে শিশুদের প্রাপ্ত বয়স্ক দেখিয়ে সনদ দেয়ার অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে শিশুদের প্রাপ্ত বয়স্ক দেখিয়ে জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে বাল্য বিয়েতে সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে।

অর্থের বিনিময়ে ওই ইউপির চেয়ারম্যান মো. আজহারুল হক ১৩/১৪ বছরের শিশুদের প্রাপ্ত বয়স্কের জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান ও সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে সম্প্রতি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়নের দুই বাসিন্দা।

ইউপি চেয়ারম্যানের দেয়া জন্ম নিবন্ধন সনদের কারণে গোয়ালনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিশু বাল্য বিয়ের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

গোয়ালনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান জানান, চলতি বছরে তার বিদ্যালয়ের ছাত্রী হাওয়া বেগম, শরমিন আক্তার ও মাকসুদা আক্তারসহ কয়েকজন শিশুর বাল্য বিয়ে হয়েছে। বিদ্যালয়ে ভর্তি রেজিস্ট্রার অনুযায়ী এসব শিশুরা ১৩ থেকে ১৪ বছর বয়সী। তবে তাদেরকে ১৮ বছর বয়স দেখিয়ে জন্ম সনদ দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল গ্রাম আদালতের এজলাস তৈরির জন্য বরাদ্দকৃত অর্থও আত্মসাৎ করেছেন বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল তার ইউনিয়নের গ্রাম আদালতের এজলাস তৈরির জন্য বরাদ্দকৃত এক লাখ ৪০ হাজার টাকা এজলাস তৈরি না করে আত্মসাৎ করেছেন। একই ইউনিয়নের লালুয়ারটুক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফার্নিচার ও স্টিলের আলমিরা ক্রয়ের জন্য ইউ.জি.পি এর বরাদ্দকৃত ৭৭ হাজার ৭৭০ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। এছাড়া হতদরিদ্রদের জন্য সোলার না দিয়ে বিত্তবানদের কাছে অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে হস্তান্তরসহ আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুলের বিরুদ্ধে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে গোয়ালনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজহারুল হক বলেন, যথাযথ নিয়মেই জন্ম নিবন্ধন সনদ দেয়া হয়ে থাকে। আমার মনগড়া কিছু করার সুযোগ নেই। তাছাড়া এজলাসের কাজ আরও আগেই সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাকে হেয় করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে।

এ ব্যাপারে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. লিয়াকত আলী বলেন, বাল্য বিয়ে রোধে আমরা সব সময় তৎপর আছি। আমি উপজেলায় যোগদানের পর অনেকগুলো বাল্য বিয়ে বন্ধ করেছি। গোয়ালনগর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হাচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *