শরীরে পানিশূন্যতার ভয়াবহ ৫ লক্ষণ

প্রচ্ছদ » Uncategorized » শরীরে পানিশূন্যতার ভয়াবহ ৫ লক্ষণ

পুঁজিবাজার রিপোর্ট ডেস্ক : একে তো গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরম, তার ওপর রমজান মাস চলছে- তাই ডিহাইড্রেশন বা শরীরে পানিশূন্যতার ঝুঁকি বেশি।

প্রাথমিক পর্যায়ে যদি ডিহাইড্রেশন বোঝা যায়, তাহলে সহজেই তা ঘরোয়া চিকিৎসাতেই মোকাবেলা করা যায়। আর এক্ষেত্রে আপনাকে যা করতে হবে তা হচ্ছে, তরল পানীয় পান করতে হবে।

কিন্তু যদি ডিহাইড্রেশনকে গুরুত্ব না দেওয়া হয়, তাহলে তা জটিল আকার ধারণ করতে পারে। যখন আপনার শরীর চলমান থাকার জন্য যথেষ্ট পানির ঘাটতি থাকবে, তখন মস্তিষ্কে সমস্যা, মস্তিষ্ক ড্যামেজ এমন মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে বলে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট।

তাই ডিহাইড্রেশনের লক্ষণগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা দরকার। ডিহাইড্রেশনের কিছু লক্ষণ সম্পর্কে নিউজপোর্টাল ইনসাইডারকে জানিয়েছেন দুইজন রেজিস্টার্ড ডায়াটেশিয়ান অ্যান্ডি বেলাত্তি এবং শ্যারন পালমার। জেনে নিন লক্ষণগুলো।

১. যখন আপনি তৃষ্ণার্ত হোন, তখন মুখের ভেতর শুষ্ক হয়ে যাওয়া
বেলাত্তি বলেন, আপনি যদি খুবই তৃষ্ণার্ত ও মুখের ভেতরটায় অত্যাধিক শুষ্ক অনুভব করেন, তাহলে এটা একটা লক্ষণ।

কিন্তু ডিহাইড্রেশনের একমাত্র লক্ষণ হিসেবে তৃষ্ণা বা শুষ্ক মুখের ওপর নির্ভর করাটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। মায়ো ক্লিনিকের এক ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, কিছু মানুষ বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিরা ডিহাইড্রেড হওয়া সত্ত্বেও শুষ্কতা অনুভব করতে পারে না।

২. প্রস্রাব আপেলের জুসের রঙের মতো হয়ে যাওয়া
বেলাত্তির মতে, শরীরে যখন যথেষ্ট পরিমান পানি বিদ্যমান থাকে, তখন প্রস্রাব লেবু-পানির রঙের হয়ে থাকে। কিন্তু যখন পানি শূন্যতা অর্থাৎ ডিহাইড্রেশন ঘটে, তখন প্রস্রাব গাঢ় রঙের হয়ে যায়। সুতরাং আপনার প্রস্রাব যদি আপেলের রসের রঙের হয়, তাহলে তা ভালো লক্ষণ নয়।

৩. প্রস্রাব কম হওয়া
আপনি যদি বাথরুমে যাওয়া ছাড়াই কয়েক ঘণ্টা পার করে দেন, তাহলে এটা একটা লক্ষণ যে, আপনার শরীর যতটা সম্ভব পানি ধরে রাখার চেষ্টা করছে। এর অন্য অর্থ হল, আপনি পর্যাপ্ত পানি পান করেননি।

৪. মাথা ঘোরা অথবা দুর্বল অনুভব করা
বেলাত্তি বলেন, আপনার প্রস্রাব যদি গাঢ় রঙের হয়ে থাকে তাহলে আপনি ডিহাইড্রেশনের পথে রয়েছেন। এর পাশাপাশি যদি মাথা ঘোরা কিংবা শারীরিক অস্থিরতা বা দুর্বলতা অনুভব করেন, তাহলে এটা নিশ্চিত লক্ষণ যে, আপনি ড্রিহাইড্রেশনে রয়েছেন।

৫. মস্তিষ্কে বিভ্রান্তি এবং ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রস্রাব না হওয়া
এসব খুবই গুরুতর ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ। বেলাত্তির মতে, এক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রয়োজন এবং শরীরে স্যালাইন নেওয়া জরুরি।

অন্যদের তুলনায় কারো কারো ডিহাইড্রেশনে ঝুঁকি বেশি
অসুস্থতার কারণে যারা শরীরে ২৪ ঘণ্টার বেশি তরল ধরে রাখতে পারে না, তাদের ক্ষেত্রে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বেশি।

যদি আপনি বাইরে কাজ করেন বা উচ্চ তাপের সময় বাইরে থাকেন, তাহলে এটি একটি বিশেষ ঝুঁকির কারণ যা আপনার মনে রাখতে হবে, কারণ আপনার ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বেশি, পালমার বলেন।

ডিহাইড্রেশনের সামান্য লক্ষণ দেখা দিলে কিছু পান করুন
ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে আদর্শ তরল হচ্ছে, পানি। কিন্তু জুস কিংবা স্পোর্টস ড্রিংকের মতো বিকল্প কিছু পান করতে ভয় পাবেন না, যদি তা হাতে থাকে। বেলাত্তি বলেন, আপনি যখন ডিহাইড্রেশন অনুভব করছেন, তখন শরীরের মধ্যে পানি যাওয়াটাই প্রথম গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনার যা কিছু আছে সেটাই ব্যবহার করা উচিত।

তথ্যসূত্র : ইনসাইডার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *