সব নিত্যপণ্য ভ্যাটমুক্ত কি-না সন্দেহ রয়েছে

প্রচ্ছদ » Uncategorized » সব নিত্যপণ্য ভ্যাটমুক্ত কি-না সন্দেহ রয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সভাপতি গোলাম রহমান বলেছেন, সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ভ্যাটের আওতামুক্ত কি-না তাতে সন্দেহ রয়েছে। এখনো যেসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ভ্যাটের আওতায় রয়েছে তা বাজেট পাসের আগে ভ্যাট অব্যাহতি দিতে হবে।

আজ রোববার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়ার গ্রুপের কনফারেন্স রুমে ডেইলি সান আয়োজিত ‘নতুন ভ্যাট হার: ব্যবসায়ী ও ভোক্তা পর্যায়ে এর প্রতিক্রিয়া’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ভ্যাটের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে বলা হচ্ছে। কিন্তু সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ভ্যাটের আওতামুক্ত কি-না তাতে সন্দেহ রয়েছে। এখনো যেসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ভ্যাটের আওতায় রয়েছে তা বাজেট পাসের আগে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

গোলাম রহমান বলেন, ব্যবসায়ীরা ভোক্তা থেকে ভ্যাট নেয়। অনেক সময় রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়, অনেক সময় জমা দেয় না- এটা একটা সমস্যা। ভ্যাট খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনতে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার; যা ভালো উদ্যোগ।

তিনি বলেন, ১৯৯১ সালের আইনে ভ্যাটের কয়েকটি হার থাকায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভোক্তাকে বেশি ভ্যাট দিতে হতো। নতুন আইনে সবক্ষেত্রে ভ্যাট ১৫%। উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ীরা রেয়াত নিতে পারবেন। কিন্তু ভোক্তারা এ সুবিধা পাবেন না।

সম্পূরক শুল্ক সম্পর্কে তিনি বলেন, সম্পূরক শুল্ক সব সময় ভোক্তার জন্য ক্ষতিকর। বেশ কিছু পণ্যে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। ইন্ডাস্ট্রি সব সময় চায় তাদের সুরক্ষা দিতে সম্পূরক শুল্কারোপের। কিন্তু অনন্তকালের জন্য এ সুরক্ষা দেয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। সাবান, শ্যাম্পু, টুথপেস্টসহ যেসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে তা পূর্বের অবস্থায় রাখার সুপারিশ করেন তিনি।

গোলাম রহমান বলেন, এনবিআর বলছে নতুন ভ্যাট আইনে ভোক্তা লাভবান হবেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো ভোক্তা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আইনে বলা হয়েছে সব পণ্যে ১৫% ভ্যাট, ব্যবসায়ীরা এ সুযোগ কি ছাড়বে? সরকারি কোষাগারে জমা হোক বা না হোক ব্যবসায়ী সব পণ্যের ১৫% হারে ভ্যাট নিয়ে নেবে।

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এ আইনে ভোক্তারা সুফল পাবে তখনিই যখন রিটেইলার যে রেয়াত পাবে তা ভোক্তাকে ফিরিয়ে দেবে। কিন্তু ভোক্তার কাছে সে রেয়াত ফিরিয়ে দেবে এ আশা অনেকটা দূরাশার মতো। এ আইনের বাস্তবায়ন সুষ্ঠভাবে না হলে ব্যবসায়ীরা লাভবান ও ভোক্তারা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সভায় ডেইলি সানের সম্পাদক ইনামুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্ব করেন। নতুন আইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন ভ্যাট অনলাইনের উপ প্রকল্প পরিচালক মো. জাকির হোসেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, ডিসিসিআই এর প্রথম সহ সভাপতি কামরুল ইসলাম, বার্ডস এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *