স্তন ক্যানসার সম্পর্কে জেনে রাখুন

প্রচ্ছদ » Uncategorized » স্তন ক্যানসার সম্পর্কে জেনে রাখুন

পুঁজিবাজার রিপোর্ট ডেস্ক : এই দিবসটি মূলত উদযাপনের পেছনে রয়েছে নারী শ্রমিকের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস। ১৯১০ সালে জার্মান কমিউনিষ্ট নেত্রী ক্লারা জেটকিন এই দিবসের ডাক দেন। ১৯৭৫ সালে জাতিসংঘের আহবানের পর থেকে সারা বিশ্বব্যাপী দিবটি পালন করা হয়।

বিশ্বের এক এক প্রান্তে নারী দিবস উদযাপনের প্রধান লক্ষ্য এক এক প্রকার হয়। কোথাও নারীর প্রতি সাধারণ সম্মান ও শ্রদ্ধা উদযাপনের মুখ্য বিষয় হয়, আবার কোথাও মহিলাদের আর্থিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠাটি বেশি গুরুত্ব পায়।

নারী দিবসে আজ আপনাদের জানাবো এক মরণব্যাধীর কথা, যার নাম স্তন ক্যানসার।

নারীদের যেসব ক্যানসার হয় সেসবের মধ্যে স্তন ক্যানসারের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। যেকোনো নারীই স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেতে থাকে। স্তনের টিস্যু এই ক্যানসারের জন্য দায়ী।

বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ২২ হাজার নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। ১৫ থেকে ৯০ বছরের মহিলাদের স্তন ক্যানসার হতে পারে। এর মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ বছরের মহিলাদের সবচেয়ে বেশি স্তন ক্যানসার হয়ে থাকে।

স্তন ক্যানসারের লক্ষণ সমূহ:

* স্তনে চাকা বা পিণ্ড

* স্তনের বোটা থেকে অস্বাভাবিক রস নির্গত হওয়া।

* স্তনের বোটা আস্তে আস্তে ভেতরের দিকে ঢুকে যেতে থাকা, অসমান বা বাঁকা হয়ে যাওয়া।

* চামড়ার রঙ পরিবর্তন।

* বগলতায় পিণ্ড বা চাকা

* স্তনের বোটার চারপাশে ফুসকুড়ি দেখা দেওয়া ও অস্বাভাবিক চুলকানি।

যে সব কারণে স্তন ক্যানসার হতে পারে:

* অস্বাভাবিক মোটা হয়ে যাওয়া।

* অধিক পরিমানে চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া।

* অত্যাধিক বিলম্বে সন্তান ধারণ।

* সন্তানদের বুকের দুধ পান না করানো।

* বন্ধ্যাত্বা জনিত কারণ।

* বংশগত কারণেও এ রোগ হতে পারে।

ঝুঁকি কমানোর উপায়:

* নিয়মিত ব্যায়াম করেল ঝুঁকি কমে যায়।

* পরিমিত পানাহার করেল স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমে যায়।

* নিজের সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ালে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।

* এছাড়া কিছু খাবার আছে যা নিয়মিত খেলে ঝুঁকি অনেকটাই কমে আসে। যেমন: মাশরুম, ব্রোকলি, পালংশাক, ডালিম, ডিম, দুধ, স্যামন মাছ ইত্যাদি।

সচেতনতা:

* ১৯-২০ বছর বয়স থেকে সকল মহিলারই অন্তত একবার নিজে নিজে স্তন পরীক্ষা করা উচিত।

* ৩৫-৪০ বছর বয়সে প্রত্যেক মহিলারই অন্তত ৬ মাস অন্তর একবার মেমোগ্রাম করানো উচিত, যাতে পরবর্তী সময়ে কোনো সমস্যা দেখা দিলে এর সঙ্গে তুলনা করা যায়।

* যাদের বয়স ৪০-৪৯ তাদের প্রত্যেকের অন্তত ২ বছর পর পর একবার মেমোগ্রাম করানো উচিত।

* ৫০ বছরের উর্ধ্বে প্রত্যেক মহিলার বছরে একবার অবশ্যই মেমোগ্রাম করানো উচিত।

চিকিৎসা:

স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়া মানেই মৃত্যু নয়। এর চিকিৎসা আমাদের দেশেই আছে। কেবল নিজেকে সতর্ক থাকতে হবে এবং প্রাথমিক অবস্থাতেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়াও হরমোনাল থেরাপি, কেমো থেরাপি ও সার্জারির মাধ্যমে স্তন ক্যানসারের চিকিৎসা করা হয়।

বাংলাদেশ মহিলা সমিতির ব্রেস্ট ক্যানসার সারভাইবাল ইউনিট বিনা মূল্যে সপ্তাহে ৫ দিন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরার্মশ সেবা প্রদান করে থাকে। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করতে পারেন, ব্রেস্ট ক্যানসার সারভাইবাল ইউনিট, বাংলাদেশ মহিলা সমিতি, ৪ নাটকসরণি নিউ বেইলি রোড, ঢাকা। ফোন: ৯৩৩৭০৫০।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *