২ বছর উৎসে কর বন্ধ রাখা উচিত : বিজিএমইএ
প্রচ্ছদ » আজকের সংবাদ » ২ বছর উৎসে কর বন্ধ রাখা উচিত : বিজিএমইএনিজস্ব প্রতিবেদক : তৈরী পোশাক শিল্প রপ্তানিখাত হিসেবে অন্তত আগামী ২ বছরের জন্য উৎসে কর বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পোশাক শিল্পের বিজিএমইএ ও বিকেএমইএসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে ২০১৭-২০১৮ সালের প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
আলোচনা সভায় বিজিএমইএর পক্ষ থেকে মোট ১২টি বিষয়ের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।
বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘গার্মেন্টস শিল্প বর্তমানে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। গত ১০ বছরে এই সেক্টরে গড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ শতাংশ, সেখানে আমাদের দেশে প্রবৃদ্ধি ছিল ৩ শতাংশের নীচে। নানা প্রতিবন্ধকতায় ইতিমধ্যে ১২’শ কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। গ্যাসের সংকটসহ নানা সমস্যার কারণে বর্তমানে নতুন কোনো ইন্ডাস্ট্রি করতে পারছি না।’
তিনি বলেন, ‘৫ বছরের জন্য এ সেক্টরে আমাদের পলিসি ঠিক করা দরকার। কারণ প্রতি বছর ভিন্ন ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিলে কর্ম পরিকল্পনায় সমস্যা তৈরি হয়। ফলে এ খাত পিছিয়ে পড়ছে। এজন্য অন্তত ৫ বছরের জন্য পলিসি নির্ধারণ করা দরকার।’
উৎসে কর তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘বর্তমানে গার্মেন্টস সেক্টরে ০.৭০ শতাংশ উৎসে কর বিদ্যমান রয়েছে। যদিও আমাদের দাবি ০.৫০ শতাংশ। তবে রপ্তানিখাত হিসেবে অন্তত আগামী ২ বছরের জন্য উৎসে কর বন্ধ রাখা উচিত। কারণ এই সেক্টরে দেশের বিশাল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। এ সুবিধা পেলে এই সেক্টর এগিয়ে যাবে। তাই উৎসে কর অবশ্যই থাকা উচিত নয়।’
রপ্তানিখাতকে ভ্যাটমুক্ত রাখার দাবি জানিয়ে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘রপ্তানিখাতকে ভ্যাটমুক্ত রাখার দাবি থাকবে। আর একটি দাবি থাকবে ৩ বছর পর অডিট করার নামে হয়রানি না করা। যাদের পণ্য নিয়ে সমস্যা কেবল তার বিষয়টি ভিন্নভাবে তদারকি করা উচিত। কিন্তু সব ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা উচিত নয়।’
তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের হয়রানি করলে দেশ এগিয়ে যেতে পারবে না। ব্যবসায়ীদের ছাড়া দেশ আগাবে না। আমরা সৎ মানুষের সঙ্গে আছি, অসৎ মানুষের সঙ্গে নেই। আমাদের সৎভাবে কাজ করতে দিন।’
করপোরেট কর বিষয়ে প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে আগামী ৫ বছরের জন্য করপোরেট কর ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা।
সভার সভাপতি অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, ‘এনবিআর সৎ ব্যবসায়ীদের সব ধরনের প্রণোদনা দিতে বদ্ধ পরিকর। আমরা সব সময় সৎ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আছি। তবে যেমন কর্ম তেমন ফল বলে একটা কথা আছে। সেজন্য এনবিআর দুষ্টের দমন শিষ্টের লালন করে থাকে।’
আলোচনা সভায় বিজিএমইএ, বিটিএমএ, বিকেএমইএ, বিপিজিইএ, বন্ড-নন বন্ডসংক্রান্ত রপ্তানিখাত, পাট, বস্ত্র ও সূতা খাতের বিভিন্ন নেতারা উপস্থিত ছিলেন।