আসন্ন বাজেটে কর্পোরেট কর কমানোর ইঙ্গিত

প্রচ্ছদ » Uncategorized » আসন্ন বাজেটে কর্পোরেট কর কমানোর ইঙ্গিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন (২০১৭-২০১৮) অর্থবছরের বাজেটে কর্পোরেট কর, ব্যাক্তি করমুক্ত আয়সীমা এবং মহিলাদের করমুক্ত আয়সীমার একটি কাঠামো তৈরির নির্দেশনার আবাস দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

আজ রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৩৮তম সভায়’ এ ইঙ্গিত দেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরা যদি ট্যাক্স রেট ৩ থেকে ৫ বছরের জন্য ঘোষণা করতে পারলে ভালো হয়। কর্পোরেট ট্যাক্স কমানোর চিন্তা করছে সরকার।

আইটি খাতে করমুক্ত সনদের বিষয়ে বেসিস সভাপতি মোস্তফা জব্বারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী বলেন, করমুক্ত সনদ এনবিআর কেন দেননি? দিস ইজ রিয়েলি অবজ্যাকশান্যাবল। এটা মাস্ট ইস্যু করা উচিত। ১ সপ্তাহের মধ্যে এটা ইস্যু করতে হবে।

বাংলাদেশ উইমেন চেম্বারের সভাপতি সেলিমা আহমেদের নারীর করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাবে মুহিত বলেন, আগামী বছর থেকে আয়কর সীমা স্থায়ী করে দেওয়া হবে। আমেরিকাসহ উন্নত দেশগুলোর মতো আয়ের লিমিট দেওয়া হবে। লিমিটের বেশি আয় হলে অবশ্যই ট্যাক্স দিতে হবে।

ভোক্তা স্বার্থ সুরক্ষায় আইনের প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, টোব্যাকো ট্যাক্সে বাংলাদেশ দুর্বল। আগামী অর্থবছর টোব্যাকো ট্যাক্স ভালো হবে। বিড়িকে দেশ থেকে বিদায় করতে হবে। বিড়ি নিয়ে অনেক মিথ আছে। বিড়ি এখন নেই, সব লো কোয়ালিটির সিগারেটের পরিণত হয়েছে।

কর্পোরেট ট্যাক্স, সিম ট্যাক্স কমানোসহ অ্যামটবের মহাসচিব নুরুল কবীরের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী বলেন, মোবাইল অপারেটররা হায়েস্ট কর্পোরেট ট্যাক্স দেন। এবার সর্বোচ্চ কর্পোরেট কর পুনঃবিবেচনার চিন্তা করছি। স্পেকটামের লাইন্সেসে ভ্যাট প্রত্যাহারেরও চিন্তা আছে।

ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খানের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে মুহিত বলেন, মোবাইল মানি ট্রান্সফারে মানি লন্ডারিং হচ্ছে। বিকাশের ব্যাপারে ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। মোবাইল মানি ট্রান্সফারের বিষয়েও পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। দেশীয় শিল্পকে বাঁচাতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।

আগামী বাজেটকে উচ্চাবিলাসী বাজেট উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, আগে ট্যাক্স দেওয়ার সময় হয়রানি ঘটনা ঘটতো; সেজন্য অনেকেই ট্যাক্স নেটে আসতে চাইতো না। এ সংস্কৃতিকে আমরা সফলভাবে বিদায় করেছি। এখন মানুষ ট্যাক্স দিতে চায়। ট্যাক্স দেওয়াকে বাহাদুরী মনে করে। তরুণ প্রজন্মও ট্যাক্স দিতে আগ্রহী। আমাদের ই-টিআইএন নিবন্ধন সাড়ে ২৮ লাখ ছাড়িয়েছে; এ সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। তাই আগামী বাজেট উচ্চাবিলাসী।

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদের সভাপতিত্বে এবং এনবিআর চেয়ারম্যানের সঞ্চালনায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা এতে বক্তব্য রাখেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *