বিনিয়োগের উৎস হিসেবে পুঁজিবাজার দুর্বল: আইএমএফ

প্রচ্ছদ » Uncategorized » বিনিয়োগের উৎস হিসেবে পুঁজিবাজার দুর্বল: আইএমএফ

পুঁজিবাজার রিপোর্ট ডেস্ক : আইএমএফের মতে, দীর্ঘ মেয়াদে তিনটি উৎস থেকে অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগের জোগান আসতে পারে। এগুলো হলো ব্যাংকিং খাত, বন্ড বাজার ও পুঁজিবাজার। এই তিনটি খাতে পার্শ্ববর্তী ও প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর তুলনায় দুর্বল অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।

গত বৃহস্পতিবার (ওয়াশিংটন সময়) বাংলাদেশের অর্থনীতি পর্যালোচনা করে দেশের বিনিয়োগ নিয়ে এ কথা বলেছে আইএমএফ। আর্টিকেল ফোর মিশনের আওতায় এই পর্যালোচনা করেছে আইএমএফ।

আইএমএফ আরও বলেছে, ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। বিনিয়োগের চাহিদা পূরণে বিদেশি বিনিয়োগ কিছুটা সহায়ক হবে। তবে অভ্যন্তরীণ খাতই বিনিয়োগের প্রধান ভরসা বলে মনে করে আইএমএফ।

অভ্যন্তরীণ উৎসগুলো পর্যালোচনা করে আইএমএফ বলছে, এখনো পার্শ্ববর্তী প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর তুলনায় এ দেশের পুঁজিবাজার ততটা শক্তিশালী নয়। বিনিয়োগের জন্য অর্থায়নের উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের অংশীদারত্বে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন ও ভারতের চেয়ে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ২০১৬ সালের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে আইএমএফ বলেছে, আর্থিক বাজার উন্নয়নের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৯তম। বাংলাদেশ এই সূচকে তলানির দেশগুলোর একটি। বাংলাদেশের ওপরে আছে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভিয়েতনাম ও ভুটান।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) উদ্ধৃতি দিয়ে আইএমএফ বলেছে, আগামী পাঁচ বছরে ৮ শতাংশ মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। এই লক্ষ্য অর্জনে ২০২০ সালের মধ্যে বেসরকারি বিনিয়োগের অনুপাত জিডিপির ২৮ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। ২০১৪ সালের হিসাবে তা ২১ শতাংশ আছে। আইএমএফ বলছে, বিনিয়োগের অর্থের জোগানের বেশ কিছু উৎস আছে। এগুলো হলো উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের নিজের অর্থ, বিদেশি বিনিয়োগ, ব্যাংক ঋণ ও পুঁজিবাজার। বর্তমানে জিডিপির ১ শতাংশের মতো আসে বিদেশি বিনিয়োগ থেকে। এটি বৃদ্ধির সুযোগ আছে। তবে বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য অভ্যন্তরীণ উৎসই প্রধান।

আইএমএফের দৃষ্টিতে, বাংলাদেশে করপোরেট বন্ড বাজারের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। সরকারি বন্ড বাজারও বেশ দুর্বল। আবার উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের আয়ের অর্থে বিনিয়োগ করতে পারছে না।

আইএমএফের মতে, ভালো প্রবৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ লাগবে, বিনিয়োগ বাড়লে বিনিয়োগনির্ভর আমদানি বাড়বে। তা সত্ত্বেও দেশের চলতি হিসাবে সংযত ও নিয়ন্ত্রণযোগ্য ঘাটতি হবে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাময়িক হিসাবে, চলতি অর্থবছরে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ জিডিপির ৩০ দশমিক ২৭ শতাংশের সমান। চলতি মূল্যে এর পরিমাণ ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি বিনিয়োগের অনুপাত জিডিপির ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ থেকে ৭ দশমিক ২৬ শতাংশ হয়েছে। অন্যদিকে বেসরকারি বিনিয়োগের অনুপাত ২৩ দশমিক ০১ শতাংশ হয়েছে, যা গতবার ছিল ২২ দশমিক ৯৯ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বেসরকারি বিনিয়োগের পরিমাণ সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকার মতো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Live Video

[ytplayer id=33256]

সম্পাদকীয়

অনুসন্ধানী

বিনিয়োগকারীর কথা

আর্কাইভস

April ২০২৪
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Mar    
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০