শিশুদের রোজা পালনে বিশেষ খেয়াল

প্রচ্ছদ » Uncategorized » শিশুদের রোজা পালনে বিশেষ খেয়াল

পুঁজিবাজার রিপোর্ট ডেস্ক : বড়দের দেখে ছোটরাও রোজা রাখার বায়না ধরে। সেহরীতে না ডাক দিলে রাগ-জিদ করে হয়তো সারাদিন হয়তো কিছুই খায় না।

তবে বিশেষজ্ঞরা জানান, শিশুকে সাত -আট বছর বয়স থেকে রোজা রাখতে অভ্যস্ত করতে পারেন। বয়োঃসন্ধিতে যেহেতু সব রোজা পুরোটা সময়ের জন্য রাখতে হয়, তাই রোজার এক মাস আগ থেকে না খেয়ে থাকার ব্যাপারে তাকে অভ্যস্ত করে তোলা ভালো।

তবে এখনকার আবহাওয়ায় সারাদিন রোজা রেখে বড়দেরই নাজেহাল অবস্থা হয়ে যায়। সেখানে শিশুরা রোজা রাখলে সেই নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে দুশ্চিন্তা দেখা যায়। দুশ্চিন্তা না করে কিছু বিষয় খেয়াল রাখুন। রোজা রাখবে বলে বাবা-মা সেহরীতে শিশুটিকে জোর করে বেশি ভাত খাইয়ে থাকেন, কিন্তু এটা মারাত্বক ক্ষতি। এতে করে শিশুটির বদহজম হতে পারে।

সেহরীতে শিশুকে ভাত, ডাল , সবজি , মাছ বা মাংস দিন। সবজি বা অন্য আঁশজাতীয় খাবার বেশি খেতে দিন। খাওয়ার পর ফল ও দুধ অবশ্যই দেবেন। ক্যালসিয়ামের জোগান দেওয়া ছাড়াও দুধের আরেকটি উপকারিতা হলো এটি অনেক্ষণ পাকস্থলীতে থাকে। রোজা চলাকালীন শিশু যেন বাইরে খুব বেশি খেলাধুলা না করে এবং রোদ থেকে দূরে থাকে সেদিকে নজর রাখুন।

শিশুরা সহজেই পানিশূন্য হয়ে যায়। তাই ইফতার ও সেহরীর মাঝে সাত থেকে দশ গ্লাস পানি দিন। শিশু দুর্বল হয়ে পড়া কিংবা অতিরিক্ত ছটফট করা, চোখ ভিতরের দিকে ঢুকে যাওয়া, জিহ্বা শুকিয়ে যাওয়া ইত্যাদি পানিশূন্যতার লক্ষণ। এসব লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান।

রোজার শেষে ইফতারিতে পানি, শরবত ও পানীয় জাতীয় খাবার বেশি দিন। চা, কফি জুস ইত্যাদি পানিশূন্যতা বাড়ায়। তাই এগুলো এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। ঝাল, ভাজা-পোড়া না দিয়ে চিড়া, পায়েস, ফল ইত্যাদি খেতে দিন। একবারে অনেক খাবার না দিয়ে দুই ধাপে ইফতার খাওয়া যেতে পারে।

আর রোজা রাখতে গিয়ে যদি শিশুর কোনো অসুবিধা হয় তখনও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Live Video

[ytplayer id=33256]

সম্পাদকীয়

অনুসন্ধানী

বিনিয়োগকারীর কথা

আর্কাইভস

April ২০২৪
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Mar    
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০