কুমিল্লায় কোরবানির বাজার কাপাবে ‘বাহাদুর’
প্রচ্ছদ » Breaking News || Slider || আজকের সংবাদ » কুমিল্লায় কোরবানির বাজার কাপাবে ‘বাহাদুর’নূরে আলম সিদ্দিকঃ দেখতে যেমন, তেমন তার রাজকীয় ভাব, মেজাজও তেমন বেশ গরম। দেখাশোনা করার জন্য রয়েছে তার তিন জন লোক। মালিক শখ করে নাম রেখেছেন ‘বাহাদুর’।
কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার মোহনপুর বাজারের পশ্চিম পাশে কুরুইন গ্রামে উন্নত জাতের শাহীওয়াল ষাঁড়টি চার বছর যাবত লালন-পালন করছেন মমতাজ উদ্দিন ও ফেরদৌসি বেগম দম্পত্যি। বিশাল আক্রিতির বাহাদুরকে দেখতে দূরদূরান্ত থেকে প্রতিদিন লোকজন ছুটে আসছে। প্রায় ৫.৫ ফুট উচ্চতার বাদামী রংয়ের প্রায় ১৮ মন ওজনের ষাঁড়( বাহাদুর ) নিয়ে ইতিমধ্যেই কুমিল্লা দেবিদ্বারে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
গরুটির মালিক মমতাজ উদ্দিন ও ফেরদৌসি বেগম দম্পত্যি বলেন, গরুর হাট থেকে সাত বছর আগে ষাট হাজার টাকা দিয়ে শাহীওয়াল জাতের একটি গাভী ক্রয় করি যা তিন বছরের পলন করলে গাভীটি এই বাছুরটি জন্ম দেয়। জন্মের পর থেকে অত্যন্ত পরম যত্নে বাহদুরকে লালন-পালন করি।
বাহাদুরের খাদ্য তালিকায় রয়েছে আপেল, কমলা, আঙুর, মিষ্টি ও কাঠালসহ বিভিন্ন রকম ফলফলাদি তাছাড়া ধান ভাঙ্গা, গম ভাঙ্গা, ভুট্রা ভাঙ্গা, নেপিয়ার কাঁচা ঘাস। দিনে তিন বার গোসল করাতে হয়। প্রতিদিন সঠিক পরিচর্যায় গরুটির পিছনে প্রায় ৫-৭ শত টাকা ব্যয় হচ্ছে। পাশাপাশি আমরা দুই জন বাহাদুরকে দেখাশোনা করছি। এছাড়া একজন লোক সার্বক্ষণিক বাহাদুরকে সাথেই থাকতে হয়।
মালিক আরো বলেন, বর্তমানে বাহাদুরের ওজন প্রায় ১৮ মন হয়েছে। গত বছর কুমিল্লার একটি হাটে বাহাদুরকে উঠালে ক্রেতারা ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম উঠিয়েছে। দরদাম না মেলায় বাহাদুরকে বিক্রি না করে আবার লালন পালন শুরু করি । এ বছর সঠিক পরিচর্যায় আরো মোটা তাজা করে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিক্রির উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করেছি।
গরুটির মালিক মমতাজ উদ্দিন ও ফেরদৌসি বেগম দম্পত্যির বড় ছেলে ইব্রাহীম খলিল বলেন, আমার মা ও বাবা বাদুরকে লালন পালন করেছেন। কোরবানি হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। সেখানে লালনপালনে ব্যয়ভারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে দাম হাঁকানো হয়েছে। তাছাড়া যদি কোন ক্রেতা গরুটি নিতে চায় তবে সেক্ষেত্রে দরদামের সুযোগ রয়েছে। সকলকে তিনি বাহাদুরকে এসে ঘুরে দেখার আহ্বান জানান। যোগাযোগ- মমতাজ উদ্দিন -০১৯০৫২৮৯১১২, ইব্রাাহিম খলিল-০১৯৪০৭৭২১৭২।
পুঁজিবাজার রিপোর্ট – নূ/আ/সি/ ২৯ জুন , ২০২২।