নেচার পার্কে ছেড়ে দেয়া হলো সেই অজগরটি

প্রচ্ছদ » Uncategorized » নেচার পার্কে ছেড়ে দেয়া হলো সেই অজগরটি

azogorকক্সবাজার প্রতিনিধি: খাবারের খোঁজে লোকালয়ে এসে আটকা পড়া বিপন্ন অজগরটি অবশেষে মুক্তি পেয়েছে। রোববার বিকেলে অজগরটি টেকনাফের মোচনী নেচার পার্কে অবমুক্ত করা হয়েছে।

কক্সবাজার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আলী কবীরের নির্দশনায় টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন এটিকে অবমুক্ত বরেন। এর আগে শনিবার রাতে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং-বালুখানি রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা থেকে প্রায় ১২ ফুট (৩ দশমিক ৬ মিটার) লম্বা অজগরটি ধরা পড়ে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বড় কুতুপালং-বালুখানি ক্যাম্পের এক রোহিঙ্গা লোকালয়ে আসা অজগরটি আটক করে। খবর পেয়ে অজগরটি উদ্ধারে সহায়তা করে এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম (ইআরটি)। এরপর ‘ইআরটি ইউএনএইচসিআর’র সহযোগী সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর দি কনজারভেশন অব নেচারকে (আইইউসিএন) খবর দিলে ইআরটির স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় অজগরটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বন বিভাগের হাতে হস্তান্তর করা হয়।

টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, ১০ মিটার পর্যন্ত বড় হতে সক্ষম এ প্রজাতির অজগরই বিশ্বের সবচেয়ে বড় আকৃতির সাপ যেটা পরিবেশগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু নির্দয়ভাবে পাহাড়ের পর পাহাড় ধ্বংসের ফলে উখিয়া-টেকনাফের পাহাড়ি এলাকায় থাকা এসব বন্যপ্রাণী নিজের বাসস্থান হারাচ্ছে। খাবারের খোঁজে সাপটি হয়তো লোকালয়ে এসেছিল।

তিনি বলেন, সাপটির গায়ে একদম শক্তি নেই। মনে হয় খাবার পায়নি অনেক দিন। প্রায় ১২ ফুট দৈর্ঘ্যের সাপ হিসেবে এর ওজন ৩০ কেজি পার হওয়ার কথা থাকলেও এটির ওজন মাত্র ১৮-২০ কেজি। সাপটি বন বিভাগের আওতায় আসার পর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আলী কবীরের নির্দেশনা অনুযায়ী মোচনী নেচার পার্কে অবমুক্ত করা হয়।

তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গাদের মানবিক আশ্রয় দিতে গিয়ে অমানবিক ভাবে অনেক গভীর বনও উজাড় হয়ে গেছে। ফলে আবাসস্থল হারিয়ে হাতিরপাল প্রায় সময় লোকালয়ে হানা দেয়। এখন বৃষ্টি শুরু হওয়ায় হাতির পালের দৌরাত্ম আবার বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Live Video

[ytplayer id=33256]

সম্পাদকীয়

অনুসন্ধানী

বিনিয়োগকারীর কথা

আর্কাইভস

April ২০২৪
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Mar    
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০