সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ

প্রচ্ছদ » Slider || কোম্পানি সংবাদ » সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ

পুঁজিবাজার রিপোর্ট ডেস্ক : টানা ছয় কার্যদিবস উত্থানের পর আজ বুধবার পতনে বিরাজ করছে দেশের পুঁজিবাজার। এরই ধারাবাহিকতায় সূচক আবারও সাড়ে ৫ হাজারে নিচে অবস্থান করেছে সূচক। ঈদকে সামনে রেখে শর্ট টাইম মুনাফা তুলছেন বিনিয়োগকারীরা, যার ফলে ৪৮.৯৪ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। তবে পতন হলেও এর মাত্রা সামান্য। গত ৬ কার্যদিবসের উত্থানে ডিএসইতে সূচক ১৪৫ পয়েন্ট বেড়েছে। গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৮ পয়েন্ট বেড়েছে। যা সোমবার ৩৯ পয়েন্ট, রবিবার ৫ পয়েন্ট এবং আগের সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ৩৬ পয়েন্ট, বুধবার ৩০ পয়েন্ট ও মঙ্গলবার ১৭ পয়েন্ট বেড়েছিল। এ হিসাবে আজকের পতনটাকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের উভয় শেয়ারবাজারে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় শেষ হয়েছে লেনদেন। এদিন শুরু থেকে উত্থান-পতন থাকলেও ১ঘন্টা পর সেল প্রেসারে টানা নামতে থাকে সূচক। এবং শেষ ভাগে ঘুঁড়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও ব্যহত হয় বাজার। বুধবার লেনদেন শেষে সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। আলোচিত সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৬৭ কোটি টাকা।

দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫৪৮৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১২৭২ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ২০৪৩ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৭টির, কমেছে ১৬১টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪১টি কোম্পানির শেয়ার দর। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ৫৬৭ কোটি ৩৪ লাখ ১১ হাজার টাকা।

এর আগে মঙ্গলবার ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৫৫০০ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১২৭৩ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ২০৪৭ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয় ৬৩৯ কোটি ৪৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৭২ কোটি ১০ লাখ ২৯ হাজার টাকা।

এদিকে দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৩১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১০ হাজার ২৯৮ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৩৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৪টির, কমেছে ১১১টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টির। যা টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৩৪ কোটি ২৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *