৩ কোম্পানির আইপিও বাতিল, প্রত্যাহার করেছে ১টি
প্রচ্ছদ » কোম্পানি সংবাদ » ৩ কোম্পানির আইপিও বাতিল, প্রত্যাহার করেছে ১টিপুঁজিবাজার রিপোর্ট ডেস্ক: সম্প্রতি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও)তিনটি কোম্পানির আবেদন বাতিল করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এবং আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছে একটি কোম্পানি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
বাতিলকৃত কোম্পানিগুলি হচ্ছে: পিইবি স্টিল অ্যালায়েন্স লিমিটেড, আছিয়া সি ফুডস এবং ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি । এছাড়া আইপিও প্রত্যাহার করা কোম্পানি হচ্ছে মীরা অ্যাগ্রো ইনপুটস।
সূত্রে মতে, কোম্পানিগুলো পাবলিক ইস্যু বিধি ও কোম্পানি আইন ভঙ্গ করেছে। এছাড়া কোম্পানিগুলো নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করার সময়ও বিধি লঙ্ঘন করেছিল, যা আইপিও আবেদনের সাথে জমা দেওয়া হয়েছিল।
ইস্যু ম্যানেজারদের দাবি, বিএসইসি যেসব সমস্যা চিহ্নিত করেছে, সেগুলো সমাধানযোগ্য। কিন্তু বিএসইসি তাদের আবেদনগুলো বাতিল করেছেন। তাই কোম্পানিগুলোকে নিয়ম মেনে আবার আবেদন করতে হবে।
পিইবি ইস্পাত: গত ২১ অক্টোবর ২০১৮ সালে পিইবি স্টিল অ্যালায়েন্স পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করে। কোম্পানিটি তালিকাভুক্ত হয়ে বাজার থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যু করার মাধ্যমে ১৫ কোটি টাকা উত্তোলন করার জন্য আবেদন করেছিল।ৎ
অর্থ উত্তোলন করে কোম্পানি যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, কারখানা সম্প্রসারণ এবং মূলধন বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যাংক লোন পরিশোধ করতো।
কোম্পানি আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করার সময় আন্তর্জাতিক অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড -১৬ মেনে তৈরি করেনি। কোম্পানি বিধি অনুযায়ী সম্পত্তি, কারখানা এবং সরঞ্জামের মূল্যায়ন করেনি। নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে বিদেশী শাখার তথ্যে উল্লেখ না করে কোম্পানিজ আইন ১৯৯৪ অমান্য করেছে।
আছিয়া সী ফুডস: কোম্পানিটি ২ কোটি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করার মাধ্যমে ২০ কোটি টাকা বাজার থেকে সংগ্রহ করতো। সংগ্রহ অর্থ দিয়ে কোম্পানি যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সংগ্রহ, জমির উন্নয়ন এবং ব্যাংক লোন পরিশোধ করতো।
কোম্পানি পরিবেশ অধিদফতরের এবং অন্যান্য কিছু প্রয়োজনীয় সাটিফিকেট জমা দিতে পারেনি।
ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স: ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স ১ কোটি ৬০ লাখ সাধারণ শেয়ার ইস্যু করার মাধ্যমে ১৬ কোটি টাকা উত্তোলন করার জন্য আবেদন করেছিল। কোম্পানির লক্ষ্য ছিল ক্যাপিটাল মার্কেটে এফডিআর (ফিক্সড ডিপোজিট রিসিটি) এ বিনিয়োগ করা এবং ফ্লোর স্পেস ক্রয় করা।
কিন্তু কোম্পানির বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং এর প্রস্তাবিত আইপিওর আকার ছিল ১৬ কোটি টাকা। যার ফলে আইপিও-পরবর্তী পরিশোধিত মূলধন হত ৪১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। যা সংশোধিত পাবলিক ইস্যু আইন ২০১৯ এর বহির্ভূত।
সংশোধিত বিধি অনুসারে, কোনো কোম্পানি তার পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশ অর্থ উত্তোলন করতে পারবে বা সর্বোচ্চ ৩০ কোটি টাকা হতে পারবে। যা আইপিও-পরবর্তী পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকার কম হতে পারবে না।
মীরা অ্যাগ্রো ইনপুটস: মীরা অ্যাগ্রো ইনপুটস একটি ক্ষুদ্র মূলধনের কোম্পানি। কোম্পানিটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) স্মলক্যাপ প্লাটফর্ম থেকে ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করত।
কোম্পানি উত্তোলিত অর্থ দিয়ে জমি উন্নয়ন, বিনিয়োগকৃত মূলধন এবং চলতি প্রোজেক্ট সম্পন্ন করার মাধ্যমে ব্যবসায় উন্নয়ন করতো।
কোম্পানি নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে একঠি জাল নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ডিএসই সূত্র এটি দাবি করেছে।
এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোনো ব্যবস্থা নেয়ার আগেই কোম্পানি কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার (কিউআইও) প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
পুঁজিবাজার রিপোর্ট / আ/সি/ ১৬-০২-২০২০ ইং