ঋণ জালিয়াতি ঠেকাতে মন্ত্রিপরিষদে দুদকের ১০ সুপারিশ
প্রচ্ছদ » Uncategorized » ঋণ জালিয়াতি ঠেকাতে মন্ত্রিপরিষদে দুদকের ১০ সুপারিশপুঁজিবাজার রিপোর্ট ডেস্ক: গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি ও রাষ্ট্রায়ত্ব কয়েকটি ব্যাংকে ঋণ জালিয়াতির যেসব ঘটনা ঘটেছে তার পুনরাবৃত্তি রোধে মন্ত্রিপরিষদে ১০ দফা সুপারিশ পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার দুদক সচিব ড. মো. শামসুল আরেফিন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি মন্ত্রিপরিষদ সচিব বরাবর পাঠানো হয়েছে। ওই চিঠিতে দুদকের সুপারিশগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এবি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের পূর্ববতী ১৫ বছরের অবলোপনকৃত ঋণের তালিকা পর্যালোচনা করে প্রত্যেক ব্যাংকের ৫টি অবলোপনকৃত ঋণের প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করে দুদক সুপারিশগুলো তৈরি করেছে। এগুলো হচ্ছে-
১. ব্যাংকিং রেগুলেশন অ্যান্ড পলিসি ডিপার্টমেন্ট (বিআরপিডি) সার্কুলার (০২/২০০৩) মোতাবেক অবলোপনকৃত ঋণ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সব পরিচালককে খেলাপি হিসেবে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) চিহ্নিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া।
২. মামলা ছাড়া কোনো ঋণ অবলোপন না করা।
৩. ঋণ অবলোপনের আগে অবশ্যই এর কারণ সুনির্দিষ্ট করা।
৪. ব্যবসায়ী ঋণের ফান্ড অন্য কোথাও হস্তান্তর করেছেন কি-না তা খতিয়ে দেখা।
৫. ঋণ সুপারিশ থেকে অবলোপন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের কোনো ক্রুটি/অনিয়ম আছে কি-না তা উল্লেখ করা।
৬. বিদ্যমান আইনি কাঠামোর আওতায় ঋণ আদায়ের সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া।
৭. ঋণ অবলোপনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বোর্ডের অনুমোদনের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংবের অনুমোদন নেয়ার বিধান প্রবর্তন করা।
৮. ঋণ অবলোপনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের আগের বছর পর্যন্ত লভ্যাংশ থেকে শতভাগ প্রভিশন রাখার নিয়ম থাকলেও কোনো কোনো ব্যাংক চলতি বছরের লভ্যাংশ থেকে প্রভিশন করে থাকে যা বন্ধ করা।
৯. ঋণ অবলোপনের ক্ষেত্রে প্রচলিত বিধান মোতাবেক অর্থ ঋণের মামলায় রায় পাওয়ার পর ব্যাংক এক্সিকিউশন মামলা করে। অর্থাৎ, এক্ষেত্রে দুটি মামলা করতে হয়। একটি মূল মামলা, অপরটি এক্সিকিউশন মামলা। কিন্তু অনেক ব্যাংক মূল মামলার সঙ্গে সঙ্গেই ঋণ অবলোপন করে। এক্ষেত্রে, এক্সিকিউশন মামলার পর ঋণ অবলোপনের বিষয়টি বিবেচনা করার বিধান করা।
১০. প্রচলিত নিয়মে অনেক ক্ষেত্রে মামলা ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে ঋণ অবলোপন করা যায়। এক্ষেত্রে, মামলা ছাড়া কোনো ঋণ যেন অবলোপন করা না যায় সে রকম বিধান প্রণয়ন।