মায়ের যে গুণগুলো সন্তানকে সফল করে

প্রচ্ছদ » Uncategorized » মায়ের যে গুণগুলো সন্তানকে সফল করে

পুঁজিবাজার রিপোর্ট প্রতিবেদক : সন্তানের সবচেয়ে কাছের মানুষ তার মা। তাই মা না চাইতেও সন্তান অনেককিছু তার কাছ থেকে শিখে নেয়। সন্তানের সঙ্গে মায়ের সম্পর্ক যত সুন্দর হবে, তার জীবনের সফলতাও তত এগিয়ে আসবে। কারণ মা-ই যে সন্তানের প্রথম পথ প্রদর্শক! সন্তানকে সঠিক পথ দেখানো আর তার সবকিছুতে নিয়ন্ত্রণ করা এক বিষয় নয়। একথাটি মাকে ভালোভাবে মনে রাখতে হবে। দুটি বিষয় গুলিয়ে ফেললে হবে না। মায়ের কিছু বৈশিষ্ট্য বা গুণ সন্তানকে সফল হতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

​সন্তানের সমস্যার কথা মন দিয়ে শোনা-
সন্তানের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী বা উন্নত করতে হলে প্রথমেই তাদের কথা মন দিয়ে শোনার চেষ্টা করতে হবে। কারণ প্রত্যেক মানুষই নিজের কথাগুলো বলতে চায়। মায়ের কাছে সেই নিশ্চয়তাটুকু পেলে তারা নিশ্চিন্ত মনে বলতে পারে। তাই আপনার সন্তান যখনই কোনো সমস্যা বা অভিযোগ নিয়ে আসবে, ধৈর্য ধরে শুনুন ও সমাধানে সাহায্য করুন। এর ফলে সে যখনই কোনো সমস্যার সম্মুখীন হবে, আপনার কাছেই ছুটে আসবে।

​মানসিক চাপ দেবেন না-
সন্তানের কোনো কোনো আচরণে আপনার বিরক্ত লাগতে পারে। শিশুরা সবকিছু বুঝেশুনে করে না। তাই বিরক্ত হলেও সন্তানকে তা নিয়ে চাপ দেবেন না। বরং সুন্দর করে তাকে বুঝিয়ে বলতে হবে। এমনকিছু করবেন যা আপনার সন্তানের জন্য মানসিক চাপের সৃষ্টি করে। যখন আপনি শান্তভাবে সন্তানের সঙ্গে কথা বলবেন, সঠিক জিনিসটি রপ্ত করা তার জন্য সহজ হবে।

​বন্ধু হয়ে উঠুন-
যেকোনো সম্পর্ক শক্ত করার জন্য প্রয়োজন হয় সময়ের। মা-বাবা দুজনেই কর্মজীবী হলে খুব স্বাভাবিকভাবেই সন্তানের ভাগে সময় কম বরাদ্দ থাকে। তাই যত ব্যস্ততাই থাকুক, সন্তানের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটানোর জন্য নির্দিষ্ট কিছু সময় রাখুন। তার বন্ধু হয়ে উঠতে হলে আপনাকে অবশ্যই সময় দিতে হবে, গল্প করতে হবে। আপনার এই বন্ধুত্ব সন্তানের সফলতার পথ সহজ করে দেবে।

তার সঙ্গে কেনাকাটা করুন-
কেনাকাটা মানেই অপচয় নয়। সন্তানের প্রয়োজনীয় এবং শখের টুকিটাকি কেনাকাটার সময় তাকে সঙ্গ দিন। আপনাকেই যদি সে বন্ধু হিসেবে সবার আগে কাছে পায়, তবে ভুল বন্ধু বেছে নেওয়ার ভয় থাকবে না। তার বয়সটিই এমন, যে বন্ধুদের সঙ্গ চায়। আপনিও তার অন্যতম বন্ধু হয়ে উঠুন। পছন্দের কেনাকাটা করার সময় গল্প করুন, তার প্রিয় খাবারটি খেতে নিয়ে যান। এতে তার সুখী ও সুন্দর স্মৃতি জমা থাকবে। যা তাকে পরবর্তীতে একজন ইতিবাচক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করবে।

সহানুভূতিশীল হোন-
আপনার সহানুভূতিশীলতা পারে সন্তানের জীবনকে আরও সহজ করে দিতে। সে যেন যেকোনো কষ্টের কথা নির্দ্বিধায় আপনাকে জানাতে পারে। তাকে ভরসা দিন। তার আস্থার জায়গা হয়ে উঠুন। সে ভুল করুক, আপনি তাকে দূরে সরিয়ে দেবেন না। বরং সেই ভুল থেকে সঠিকটা শিখতে সাহায্য করুন। তার জীবনের সফলতার জন্য আপনার সহানুভূতি অত্যন্ত জরুরি।

পুঁজিবাজার রিপোর্ট – নূ/আ/সি/ ১৩ আগস্ট , ২০২২।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Live Video

[ytplayer id=33256]

সম্পাদকীয়

অনুসন্ধানী

বিনিয়োগকারীর কথা

আর্কাইভস

April ২০২৪
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Mar    
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০