রমজানে প্রয়োজনে রিজার্ভ ব্যবহার করা হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সামাল দিতে প্রয়োজনে আমরা রিজার্ভে থাকা ডলার ব্যবহার করবো। তিনি বলেন, রমজানের আগে ডলারের দাম বাড়লে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। আমাদের ৩২ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ আছে।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন। এর আগে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ত্রান ভান গোয়া।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভিয়েতনামের সঙ্গে বাংলাদেশের যৌথ অর্থনৈতিক কাউন্সিল আছে। ২০১৫ সালে কাউন্সিলের সর্বশেষ সভা হয়েছে। এই কাউন্সিলের আগামী সভা করতে আমার সম্মতি নিতে এসেছিলেন ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ত্রান ভান গোয়া। চলতি বছরেই এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। তবে পরবর্তীতে আলোচনার মাধ্যমে সভার তারিখ করে নির্ধারণ করবে দুই দেশ।

তিনি আরও বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। ভিয়েতনামে আমরা ওষুধ রপ্তানি করি। সেখানে আমাদের ওষুধের বাজার আরও বাড়াতে ডিউটি ফ্রি সুবিধা চাইবো।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মে মাসে রোজা শুরু হবে। এর মধ্যে হঠাৎ ডলারের মূল্য বেড়ে গেল। গত দুই দিন এটা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ইতোমধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন তিনি। ডলারের দাম ৮৪ টাকা হয়েছিল, সেটা ৮২ টাকায় এসেছে। বর্তমানে আমাদের ৩২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রিজার্ভ আছে, সেখান থেকে ২০০ বা ৪০০ মিলিয়ন ডলার ব্যাংকে দিলে আমাদের বিশেষ ক্ষতি নাই। ডলারের দাম স্বাভাবিক হবে।

তিনি আরও বলেন, আগামী ৩০ এপ্রিল ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করবো। রোজায় যেন পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক থাকে- সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকও এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, চাল আমদানিকে নিরুৎসাহিত করতে চালের আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছি। এখন এ শুল্ক কমাতে তদবির চলছে। শুল্ক কমালে চাল আমদানি হবে, চালের দাম কমবে। এতে আমাদের কৃষকরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে- এতে কোনো সন্দেহ নাই। ক্ষমতাসীন দল এবং এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই তারা নির্বাচন করবে।